তাঁকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, গুলশন হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার তিনটি একে ২২ রাইফেলের গায়ে বিহারের অস্ত্র কারখানার ছাপ মিলেছে।
জানা গিয়েছে, গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার মাসখানেক আগে একে ২২ রাইফেল ও কিছু ছোট অস্ত্রের এক বড় কনসাইনমেন্ট জঙ্গিদের হাতে পৌঁছয়। ওই অস্ত্র্রশস্ত্রের মধ্যে তিনটি একে ২২ রাইফেল হামলায় কাজে লাগানো হয়। আরেকটি রাইফেল নয়া জামাতুল বাংলাদেশ সংগঠনের প্রধান তামিম আহমেদ চৌধুরিকে সুরক্ষা দিতে ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।
ইসলামকে উদ্ধৃত করে তারা এও বলেছে, আমরা অবশেষে একে ২২ সাপ্লাইয়ের উত্স, তা কোন পথে পাচার করা হয়েছিল জানতে পেরেছি, পাশাপাশি এ ব্যাপারে যুক্ত গোষ্ঠীটিকেও শনাক্ত করেছি আমরা। এবার ওই গোষ্ঠীর লোকজনকে গ্রেফতার করার অভিযান চলছে।
নিখোঁজ জেএমবি নেতা নুরুল ইসলাম মারজান ঢাকায় ওই অস্ত্রের কনসাইনমেন্টটি নেয়, তারপর তা সে পাঠিয়ে দেয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জঙ্গি ডেরায়। ১ জুলাইয়ের কাফে হামলায় সে-ই ছিল ফিল্ড স্তরের কোঅর্ডিনেটর। ইসলাম এও বলেছেন, সে সময়ই ঢাকা থেকে চাপাইওয়াবগঞ্জে ঝুড়িতে প্রচুর আম পাঠানো হয়েছিল। নিরাপত্তাবাহিনীকে ফাঁকি দিতে তার সুযোগ নেয় সন্ত্রাসবাদীরা। আমের ঝুড়িতে করে অস্ত্র পাচার করে।
আইএসআইএস প্রকাশ্যে ঢাকা হামলার দায় ঘোষণা করলেও পুলিশের অনুমান, ওদের ঘনিষ্ঠ নয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশই গোটা হামলা পরিচালনা করেছে।
এদিকে গুলশন হামলায় জড়িত থাকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ থেকে তামিম হাসিব খান নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার পডু়য়াকে রেহাই দিল স্থানীয় আদালত। তামিমকে গত রবিবার জামিন দেয় আদালত। পুলিশ তদন্ত রিপোর্টে বলেছিল, তার সঙ্গে হামলাকারীদের কোনও যোগাযোগের প্রমাণ মেলেনি। দি ডেইলি স্টার-এর খবর, এবার সে পুরোপুরি রেহাই পেল। তাকে গুলশন হামলার মদতদাতা হিসাবে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।