ওয়াশিংটন: ভারত-মার্কিন কৌশলগত বোঝাপড়ার পিছনে যে ভিত্তি রয়েছে, তা খারিজ করা যায় না। দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে নিবন্ধে লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী। এও লিখেছেন, ভারত ও আমেরিকা পরস্পরের সঙ্গে গভীরতর, দৃঢ়তর সম্পর্ক গড়ে তুলছে, যা বেল্টওয়ে ও রাইসিনা হিলকে ছাড়িয়ে যাবে।
নয়াদিল্লির রাইসিনা হিল ভারতের প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থল, অন্যদিকে বেল্টওয়ে হল ওয়াশিংটন ডিসি-কে ঘিরে থাকা হাইওয়ে, যা ইন্টারস্টেট ৪৯৫ বলেও চিহ্নিত।


বিশ্বব্যাপী এক অনিশ্চিত আর্থিক পরিমন্ডলের মধ্যে ভারত ও আমেরিকা পরস্পর আর্থিক বৃদ্ধি, উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি জোরদার করে চলেছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের প্রাক্কালে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদী তাঁর গত জুনের ওয়াশিংটন সফরের উল্লেখ করেছেন নিবন্ধে, মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণের কথাও বলেছেন। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ইতিহাসের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অতিক্রম করে গিয়েছে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক।

তিনি লিখেছেন, এক বছর বাদে ফিরলাম আমেরিকায়। আমার বিশ্বাস, আমাদের দুটি দেশের মধ্যে যোগাযোগ ক্রমবর্ধমান। এই বিশ্বাসের মূলে রয়েছে পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া আমাদের মূল্যবোধ, শাসন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা। দুটি দেশের মানুষ, প্রতিষ্ঠান গণতান্ত্রিক পরিবর্তনকে পুনরুজ্জীবন, নবীকরণের হাতিয়ার হিসাবে দেখে।

মোদী লিখেছেন, দুটি দেশ পরস্পরের রাজনৈতিক মূল্যবোধে আস্থা রাখে, একে অন্যের সমৃদ্ধিতে গভীর ভাবে বিশ্বাস করে বলেই তাদের যোগাযোগ বেড়েছে। আমাদের যোগাযোগে নতুন একটি স্তর তৈরি হয়েছে, তা হল, গোটা দুনিয়ার মঙ্গলের জন্য আমাদের বোঝাপড়া। ভারত, আমেরিকা একযোগে কাজ করলে লাভ হয় গোটা দুনিয়ার।

এ প্রসঙ্গে তিনি রোটাভাইরাস বা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সাধ্যের মধ্যে প্রতিষেধক তৈরি করা, সাইবারস্পেসের ক্ষেত্রে রীতি-নিয়ম চালু করা, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় মানবতাবাদী সাহায্যদান, আফ্রিকায় শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদাহরণের কথা বলেন।
প্রতিরক্ষা দুটি দেশেরই পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বলে ইঙ্গিত করে মোদী লিখেছেন, আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অকাট্য যুক্তির ভিত্তিতে।

দু দেশের সমাজ ও বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদী আদর্শ ও নিরাপত্তার সামনে অ-প্রচলিত বিপদ থেকে রক্ষা করায় ভারত, আমেরিকা উভয়েরই স্বার্থ রয়েছে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় চার দশকের অভিজ্ঞতা আছে ভারতের। এই বিপদকে পরাস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসনের অঙ্গীকারের শরিক সে-ও।