ঢাকা: গুলশনের অভিজাত রেস্তোরাঁয় কয়েক মাস আগের হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বেশ কিছু লোকজন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর পেয়ে শনিবার ভোরে বাংলাদেশের রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি তিনতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে ঢাকা মেট্রপলিটান পুলিশ (ডিএমপি)। আচমকা সন্ত্রাস দমন এলিট বাহিনীর হানার মুখে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় এক মহিলা ও এক কিশোর। নিহত হয় দুজনেই। দুটি বাচ্চা সহ আত্মসমর্পণ করে দুজন মহিলা।

বাড়িটি চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে ভিতরে লুকিয়ে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বারংবার আহ্বান জানায় পুলিশ। জঙ্গিদের হাতে প্রচুর বিস্ফোরক আছে বলে খবর থাকায় চট করে সেখানে অভিযানের রাস্তায় হাঁটেনি পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বাড়িটির দিকে এগতে থাকে তারা। ভিতর থেকে পুলিশকে টার্গেট করে গুলি ছোঁড়া হয়। তখনই ভিতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।



সন্ত্রাসবাদী দমন সংক্রান্ত অফিসার সানোয়ার হোসেন মিডিয়াকে বলেন, বোরখা পরা এক মহিলা একটি বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে আসে, শরীরে বেঁধে রাখা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। সামান্য আঘাত পায় এক নাবালিকা।



এদিকে অভিযানের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল এক কর্তা জানিয়েছেন, ভিতরে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ছেলেটি নয়া জামাতুল মুজাহিদিন-এর এক পলাতক নেতার পুত্র। মহিলাটি সংগঠনের এক চাঁইয়ের স্ত্রী।



ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াঁ বলেছেন, ওরা আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায়। আমরা ওদের বারবার ধরা দিতে বলছি।



প্রসঙ্গত, ১ জুলাইয়ের কাফে হামলায় ১৭ বিদেশি সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। হামলায় নয়া-জেএমবি গোষ্ঠীর হাত ছিল।