বিএনপি-র সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভি দলের কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে তারিকের নাম ঘোষণা করেছেন। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দলীয় সংবিধান মেনেই তারিককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি এখন লন্ডনে আছেন। নির্বাসিত অবস্থায় থেকেই দলকে পরিচালনা করবেন তারিক। তাঁর দলীয় প্রধান হতে কোনও সমস্যা নেই।’
সামরিক সরকারের আমলে ১৮ মাস জেলবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে যান তারিক। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। অর্থপাচারের মামলায় ২০১৬ সালে তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। এবার জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্টের জন্য অনুদান হিসেবে পাওয়া ২১ মিলিয়ন টাকা নয়ছয়ের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হল। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামি লিগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার মামলাতেও তারিকের বিচার চলছে। ওই হামলায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে যান।
দুর্নীতির একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারিকের বিএনপি প্রধান নির্বাচিত হওয়ার সমালোচনা করে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি কেন তাদের দলীয় সংবিধান থেকে সাত নম্বর ধারা তুলে দিয়েছে, সেটা এখন পরিষ্কার। এখন আর দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্তদের বিএনপি প্রধান হতে বাধা নেই।’