ওয়াশিংটন: খালেদা জিয়া যাতে 'ন্যয়বিচার' পান, তা বাংলাদেশ সরকারকে সুনিশ্চিত করতে বলল আমেরিকা। গতকালই ৭২ বছর বয়সি বাংলাদেশের তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, এখনকার প্রধান বিরোধী নেত্রীকে গতকাল ঢাকার বিশেষ আদালত ২৫০০০০ মার্কি্ন ডলার অর্থমূল্যের ডোনেশন নয়ছয়ের মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। খালেদার প্রয়াত স্বামী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে গঠিত জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্টের জন্য এসেছিল ওই অনুদান। খালেদার পাশাপাশি তাঁর পলাতক বড় ছেলে তথা বিএনপি-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক রহমান ও আরও চারজনের দশ বছরের জেল হয়েছে এই মামলায়।
খালেদা ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ওই ট্রাস্ট থেকে প্রায় ৪ লক্ষ মার্কিন ডলার আত্মসাত্ করা, আরও ২৭৭০০০ মার্কিন ডলার নয়ছয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) নেত্রী খালেদা জিয়ার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ব্যাপারে আমরা অবহিত। বাংলাদেশকে বলব, তিনি ন্যয়বিচার পেয়েছেন, সেই গ্যারান্টি দেওয়া হোক।
মুখপাত্রটি বলেন, আমরা বিরোধী শিবিরের নেতা, কর্মীদের ধরপাকড়ের খবরেও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সরকারকে বলব, দেশের সব নাগরিকের ন্যয়বিচার তারা সুনিশ্চিত করুক। পাশাপাশি সরকারকে আবেদন করছি, দেশের সব মানুষ যাতে নির্ভয়ে, পাল্টা হামলার শঙ্কামুক্ত থেকে খোলাখুলি প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক মতামত জানাতে পারেন, তাঁদের সেই অধিকার দিন, অবাধ ও নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করুন যাতে বাংলাদেশি জনগণের চাহিদা, ইচ্ছার প্রতিফলন পাওয়া যায়। আমরা বাংলাদেশের সমাজের সব মানুষকেও শান্তি বজায় রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করতে আবেদন করছি। সব পক্ষকে হিংসা পরিহার করতে হবে, কেননা হিংসা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথে বাধা