সান ফ্রান্সিসকো: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাতটি দেশের উদ্বাস্তু, অভিবাসীদের আমেরিকায় ঢোকায় বিধিনিষেধ জারির তীব্র প্রতিবাদ জানালেন মার্ক জুকেরবার্গ। আমেরিকা অভিবাসীদেরই দেশ এবং সেজন্য গর্ব হওয়া উচিত বলে অভিমত জানিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা।

'উগ্র ইসলামি মৌলবাদী, সন্ত্রাসবাদীদের' আমেরিকা থেকে দূরে রাখতে সাতটি দেশ থেকে মার্কিন মুলুকে অভিবাসন বন্ধ রাখতে বলেছেন ট্রাম্প। সিরিয়া থেকে উদ্বাস্তুদেরও আমেরিকায় ঢোকা নিষিদ্ধ করেছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক পেজে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জুকেরবার্গ লিখেছেন, আপনাদের অনেকের মতোই আমিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্প্রতি স্বাক্ষর করা নির্দেশাবলীর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তিত। ঠিকই, দেশটাকে নিরাপদ রাখতে হবে আমাদের। কিন্তু যারা সত্যিই বিপদ হতে পারে, শুধু তাদের নজরে রেখেই এটা করা হোক, শরণার্থী ও যাদের সাহায্য প্রয়োজন, তাদের জন্যও দরজা খোলা রাখা উচিত আমাদের।
বারবার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ তুলেছেন জুকেরবার্গ। স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার চিন, ভিয়েতনামের উদ্বাস্তু। তিনি লিখেছেন, কয়েক দশক আগে উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে দেওয়া হলে প্রিসিলার পরিবার আজ এ দেশে থাকত না।
বরাবরই অভিবাসনের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন তিনি। উল্লেখ করেছেন জার্মানি, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড থেকে আসা নিজের পিতামহ-পিতামহীদের কথাও।
গুগল-এর ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও সুন্দর পিচাই পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রশাসনিক নির্দেশে ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, এর ফলে আমেরিকায় সেরা মেধাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের আসার পথে বাধা তৈরি হবে। সাতটি দেশ থেকে বিদেশিদের আমেরিকায় আসা বন্ধ হওয়ার ফলে অন্তত ১৮৭ জন গুগল কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন পিচাই। ই মেল বার্তায় জানিয়েছেন, যেসব দেশ থেকে লোকজনের আমেরিকায় আসায় নিষেধাজ্ঞা বসছে, ওই কর্মীরা সেইসব দেশের লোক। বিবিসি-র খবর, ট্রাম্পের প্রশাসনিক নির্দেশের পর গুগল বিদেশ থেকে তাদের ১০০ কর্মীকে ফিরিয়ে নিয়েছে।