এখনও পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তিনজনের মধ্যে একজন মালয়েশিয়ার বাসিন্দা, আরেকজন রেস্তরাঁ মালিক। দুজনেই ভারত থেকে ফিরেছেন। আরেকটি জনগোষ্ঠীতেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত তৃতীয় ব্যক্তি ফিলিপিন্স থেকে ফিরেছিলেন।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধিকর্তা নূর হিশাম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন স্ট্রেনের সন্ধান মেলার অর্থ, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে চলতি গবেষণা তার মোকাবিলায় অসম্পূর্ণ বা নিষ্ক্রিয় হতে পারে। আবদুল্লাহ-র কথায়, যে দুটি জনগোষ্ঠীতে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। এটা প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষা।আরও বেশ কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন। আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, মানুষকে আরও আরও সচেতন হতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। এখন এটাই একমাত্র রাস্তা। তাঁর মতে করোনাভাইরাসের থেকেও এটা ১০ গুণ বেশি মারাত্মক। সংক্রমণের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে মালয়েশিয়া একে সুপার স্প্রে়ডার আখ্যা দিয়েছে।
করোনার যাবতীয় বিধি খুব কঠোর ভাবে মেনে চলা,বাড়ির বাইরে বেরলে নিজেকে নিরাপদ রাখার ওপর জোর দিতে হবে। শুধু মালয়েশিয়ায় নয়, আমেরিকা, ইউরোপের বেশ কিছু অঞ্চলে করোনার চরিত্র বদল হওয়া এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে এই ভাইরাস যে আরও ভয়ঙ্কর রকমের কোনও রোগের জন্ম দেবে, সে সম্পর্কে এখনও কোনও প্রমাণ নেই। বিশ্ব জুড়ে করোনার টিকা আবিষ্কারের যে দৌ়ড় শুরু হয়েছে, সেই টিকা এই ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে বা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।