হাওড়া: ওড়িশায় ইয়াস-বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যের পাইকারি মাছ বাজারে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ওড়িশা থেকে আপাতত বন্ধ সামুদ্রিক মাছের আমদানি। সমস্যায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা। ওড়িশা থেকে মাছ আসা বন্ধ হওয়ায় তাঁদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মাছ। ফলে চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে খুচরো বাজারে। মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ ফেরাচ্ছেন ক্রেতারাও। সব মিলিয়ে লোকসানের মুখে হাওড়ার মাছ বাজার।
চাহিদার তুলনায় নেই জোগান। পাইকারি বাজারে হু-হু করে বাড়ছে মাছের দাম। ফলে পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়াক, আবেদন খুচরো মাছ ব্যবসায়ীদের।
কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি।কিন্তু ব্যাগ হাতে বাজারে গিয়ে এখন সেই বাঙালিকেই মাছ কিনতে রীতিমতো ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। একদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ঝাপটা...সঙ্গে দোসর ভরা কটাল।জোড়া ধাক্কায় ভেঙেছে একের পর এক নদী বাঁধ। বাঁধ ভাঙা জলের তোড়ে মাছের ভেড়ি ভেসে নষ্ট হয়েছে প্রচুর মিষ্টি জলের মাছ।যার প্রভাবও পড়েছে পাইকারি মাছের আড়তগুলিতে। 


উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত দু'নম্বর ব্লকের খড়িবাড়ি আড়তেও গত কয়েকদিনে মাছের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। বারাসতের এক  মাছ ব্যবসায়ী বলেছেন, মাছের দাম বেড়ে গেছে। আমরা এই বাজার থেকে মাছ কিনে খুচরো বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে ক্রেতাদের মাছ কেনা অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। সরকার সাহায্য করুক।


ইয়াসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দুই মেদিনীপুরের একাংশ।ফলে সেখান থেকে মাছের জোগান না আসায়, তার প্রভাবও পড়ছে পাইকারি মাছের বাজারে। মাছ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মেদিনীপুর থেকে ভেড়ির মাছ আসছে না। তার ফলে মাছের দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে মাছ কিনতেই হিমশিম খাচ্ছি। কী করে কম দামে খুচরো বাজারে মাছ বেচব?


বারাসাতেরই আর এক মাছ ব্যবসায়ী বলেছেন,করোনার জন্য অনেকেই সমুদ্রের মাছ খাচ্ছে না। ফলে মিষ্টি জলের মাছের চাহিদা বেড়েছে। অথচ সেভাবে জোগান নেই। সব মিলিয়ে মাছ ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ...দামের ছ্যাঁকায় ব্যতিব্যস্ত সকলে।