হাওড়া: করোনাকালে বেলুড় মঠে চালু হল ৫০ বেডের সেফ হোম। আজ থেকে শুরু হল রোগী ভর্তি। বেলুড় শিল্পমন্দির পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে আপাতত ৬ মাসের জন্য এই সেফ হোম চালু হয়েছে।
বিনামূল্যে মিলবে ওষুধ, চিকিৎসা, পথ্য ও অক্সিজেন পরিষেবা। মূলত উপসর্গহীন অথবা মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের বেলুড় মঠের এই সেফ হোমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের বাড়িতে থাকার অসুবিধা থাকলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরই ওই রোগীদের বেলুড় মঠের সেফ হোমে ভর্তি করবে।
এই প্রথম নয়। এর আগেও করোনা পরিস্থিতিতে আর্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন।
করোনা পরিস্থিতি ও কার্যত লকডাউনের কারণে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের হাতে বেলুড় মঠ চ্যারিটেবল ডিসপেনসরি থেকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছিল।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় অসংখ্য মানুষের জীবন, জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কাজ হারান অনেক পরিযায়ী শ্রমিক। কেউ ভিন রাজ্যে থেকে ফিরে এসেছেন নিজের রাজ্যে। এই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ায় বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন।
৭ থেকে ১০ দিন এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি চালানো হয়েছিল মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ জন মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবার।
তার আগে, একটি বেসরকারি ল্যাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে স্বল্প মূল্যে আরটি-পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করে তারা। ইতিমধ্য়েই চালু হয়েছে সেই পরিষেবা।
আপাতত সপ্তাহে দু’দিন---সোম ও বৃহস্পতিবার আরটি-পিসিআর টেস্ট হবে। এজন্য ৬০% টাকা ভর্তুকি দেবে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ।
রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষণ মন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী দিব্যাগুণানন্দ বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ জনের টেস্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, পরবর্তীকালে সেটা বাড়িয়ে সপ্তাহে চার দিন এবং ১০০ জন করা হবে।
আর এখন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৫০ বেডের সেফ হোম চালু করল রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষন মন্দির।
গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে এইভাবেই দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল মঠ কর্তৃপক্ষ। এবারও জনসেবায় এগিয়ে এল তারা।