কলকাতা: দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ইয়াস। ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বনে তৎপর কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে শহরের ৮টি উড়ালপুলে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক উড়ালপুল। এই তালিকায় রয়েছে। গার্ডেনরিচ উড়ালপুল, তারাতলা উড়ালপুল, গড়িয়াহাট উড়ালপুল, পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল, এজেসি বোস উড়ালপুল, উল্টোডাঙা উড়ালপুল, চিংড়িঘাটা উড়ালপুল ও মা উড়ালপুল। 


এদিন সকাল থেকেই আনন্দপুরের হাইরাইজ আবাসনের ছাদে ভালোমতোই টের পাওয়া যাচ্ছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। আমফানের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে এবার আগের থেকে তৈরি রয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা। ধর্মতলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে হাওয়ার দাপটও। ভোর থেকে বাবুঘাটে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার।  শহরের অন্যান্য জায়গার মতোই ভোর থেকে বাবুঘাটে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভাও। রাতভর খোলা রয়েছে পুরসভার কন্ট্রোল রুম। একইসঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবাও। 


দ্রুত এগোচ্ছে ইয়াস। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৮০ কিমি দূরে রয়েছে। ওড়িশার ধামড়া থেকে এই মুহূর্তে ৪০ কিলোমিটার ও বালেশ্বর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। বেলার দিকে আছড়ে পড়তে চলেছে ধামড়া ও বালেশ্বরের মাঝামাঝি স্থলভূমিতে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার কথা পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘায় ইয়াসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার। আছড়ে পড়ার আগেই প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ইয়াস। কলকাতা পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়াতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।