নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের অন্যতম 'বিতর্কিত' বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। একাধিক উগ্রপন্থী কার্যকলাপের পিছনে তাঁরই মস্তিষ্ক ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। মামলাও হয়েছিল বহু। ছিল অপহরণের অভিযোগ। সেই JKLF নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রীকেই নবগঠিত অন্তবর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনল পাকিস্তান।
ইয়াসিন মালিকের সংগঠন JKLF ইতিমধ্য়েই নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে NIA, সন্ত্রাসের মদত ও অর্থ জোগাড় করা এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো অভিযোগ রয়েছে ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
ইয়াসিনের স্ত্রী মুশাল হুসেইন মালিক। তাঁকে পাকিস্তানের নতুন অন্তর্বতী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ উপদেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং জম্মু কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তরুন চাঘ একটি বিবৃতিতে বলেন, 'ভারত বারবার বলে এসেছে যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দেয়, মুশল হুসেইন মালিকের নিয়োগ এই কথাটাই ফের প্রমাণ করল।' ভারতের বিরুদ্ধে হামলা করেছে এমন 'মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট'-কে বারবার জায়গা দিয়েছে পাকিস্তান, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতার।
কে এই মুশল হুসেইন মালিক?
ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মুশাল লন্ডন স্কুল অফ গ্র্যাজুয়েটের প্রাক্তনী। ২০০৯ সালে ইয়াসিনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরে ছিলেন ইয়াসিন। সেই সময়েই তাঁদের আলাপ হয়। মুশালের মা রেহানা হুসেইন মালিক পাকিস্তান মুসলিম লিগের মহিলা শাখার নেত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা এমএ হুসেইন অর্থনীতির প্রফেসর ছিলেন। তিনি পাকিস্তান থেকে নোবেল পুরস্কারের জুরি বোর্ডের প্রথম সদস্য ছিলেন।
দীর্ঘ ডামাডোলের পরে সদ্য তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের অন্তর্বতী সরকার। অন্তর্বতী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আনওয়ারুল হক কাকার। ১৯ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্যাবিনেট। আপাতত তারাই প্রশাসন চালাচ্ছেন। দ্রুতই সেদেশে হবে নির্বাচন।
পাকিস্তান জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে নিম্নকক্ষের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগামী ১২ অগাস্ট। তার আগে ৯ অগাস্টই সরকার ভেঙে দিয়েছেন শেহবাজ। সেই মর্মে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট আলভি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রাক্তন সদস্য। তখনই বলা হয়েছিল তিনি সরকার ভাঙার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ মেনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।