কলকাতা : ঘূর্ণিঝড় "ইয়াস"-এর কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তোড়জোড়। এদিকে আজ বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকালে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সি এবং জেলাশাসক-পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ট্যুইট করে নিজেই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, সব আধিকারিককে আগাম পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। তাঁদের সাইক্লোন ও ফ্লাড সেন্টারে রাখা হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনর্বাসনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও লিখেছেন, মৎস্যজীবীদের এখনই ফিরে আসতে বলা হয়েছে। 24x7 কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে( (ফোন নম্বর - 1070 & 033-22143526)। সব এজেন্সিকে কাজে লেগে পড়তে বলা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন রয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে । আগামীকাল সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে সোমবার তা পরিণত হবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তার জেরে সোমবার সন্ধের পর থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০-৫০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার সেই ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি। ২৫ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হবে । ওইদিন ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার থেকেই দুই রাজ্যের উপকূল এলাকায় শুরু হবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ধীরে ধীরে বাড়বে বৃষ্টির দাপট। ২৬ তারিখ থেকে হবে ভারী বৃষ্টি। ২৭ তারিখে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে আমফানের থেকে কম শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড়।


এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আসার কথা মাথায় রেখে দিঘা মোহনায় সমস্ত নৌকাকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দা ও পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার চলছে।