দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের একটা মে মাস। ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। আর এই আবহে তৎপরতা শুরু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে। সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকে জি ও এল প্লট দ্বীপে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমুদ্র বাঁধ মেরামতির তৈরির কাজ চলছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আছড়ে পড়ার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বন্দরে নজরদারি চালাচ্ছে মৎস্য দফতর। ফ্রেজারগঞ্জ বন্দরে ঘুরে মত্স্যজীবীদের সতর্ক করেন মৎস্য দফতরের আধিকারিক। নদী বা সমুদ্রে কোনও নৌকা বা ট্রলার রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকেও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।
জল থেকে কখন উঠে আসবে দৈত্য? আশঙ্কার প্রহর গুণছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক অঞ্চল। এক বছর আগে বিশে মে এই সব এলাকা তছনছ করে দিয়েছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই তাণ্ডবের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এবার রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কবার্তা। আমফানের ক্ষত আর স্মৃতি বুকে নিয়েই ইয়াসকে ঠেকানোর জোর চেষ্টা চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গতকাল, শনিবার প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামবাসীদের নিয়ে রায়দিঘিতে শুরু হয়েছে নদীবাঁধ সংস্কার। জনপদে জলোচ্ছ্বাস রুখতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন সবাই
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বে অফ বেঙ্গলে সাইক্লোন ফর্ম হচ্ছে। বাংলার দিকে ধেয়ে আসার চান্স খুবই স্ট্রং। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় এড়াতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে নদীবাঁধ সারাইয়ে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল, রায়দিঘী অঞ্চলের এক গ্রামবাসী বলেন, বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। আগের ঘুর্ণিঝড়ে বাঁধ ভেঙেছে। এবার আমরা আগেভাগে মাটি কেটে বাঁধ সারানোর কাজে হাত লাগিয়েছি।
আমফানের ক্ষত আর স্মৃতি বুকে নিয়েই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে দক্ষিম ২৪ পরগনা। তবু গ্রামবাসীদের আশঙ্কা কাটছে না। বঙ্গোপসাগরের জলরাশি থেকে বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে ইয়াস যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, তাহলে কী হবে, সেটা চিন্তা করেই শিউরে উঠছেন তাঁরা।