নয়া দিল্লি: প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষতি কমাতে সময়মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। ইয়াস নিয়ে ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গওবা। আগামী ২৬ মে-র মধ্যে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে অনেক আগেই। সেই অনুযায়ী তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইয়াস নিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনের কাছে। শনিবার ইয়াসের আশঙ্কায় সেই তৎপরতা বজায় রাখল কেন্দ্র। এদিন ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সেন্ট্রাল ও স্টেট এজেন্সির সঙ্গে আলোচনা করলেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গওবা। বৈঠকে গওবা বলেন, ''যেসব উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের আশঙ্কা আছে,সেখানে আগে থেকেই মানুষজনকে সরিয়ে আনা হোক। নৌকা, লঞ্চ সরিয়ে এনে প্রাণহানির আশঙ্কা দূর করুক প্রশাসন। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে একজনেরও প্রাণহানি হবে না।''
এদিন ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সম্পর্কে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে বিস্তারিত জানান ইন্ডিয়া মেটেরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট-এর ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর ওড়িশা উপকূলে ২৬ তারিখ সন্ধ্যের মধ্যে ইয়াস আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময় এইসব জায়গায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। সঙ্গে দোসর হবে ভারী বৃষ্টি। উপকূলের জেলাগুলিতেই এই তীব্র হাওয়া, ঝড় ও বৃষ্টি দেখা যেতে পারে।''
এদিনের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবরা জানান, ইয়াসের জন্য আগে থেকেই সরিয়ে আনা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে। পানীয় জল ছাড়াও পর্যাপ্ত খাবার ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মজুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও বিপদের সময় যাতে বিদ্যুৎ, টেলি যোগাযোগের ব্যবস্থা সচল রাখা যায়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতির আশঙ্কায় আগে থেকেই ৬৫টি দল নামানো হয়েছে। এখনও স্ট্যান্ডবাই মুডে রয়েছে আরও ২০ টি এনডিআরএফ দিল।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪মে উত্তর আন্দামান সমুদ্রের ওপর একটা নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরে যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেব। ২৬ মে-র সন্ধ্যের মধ্যে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এই ঝড়ে। এ ছাড়াও আন্দামান নিকোবর দ্বীপে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যা থেকে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।