ভুবনেশ্বর: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকল ভুবনেশ্বর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে ভুবনেশ্বরে। ২৬ মে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। এটা তারই এফেক্ট বলে মনে করছেন আবহবিদরা।


বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD) জানায়, আগামী ২২ জুনের মধ্যে উত্তর আন্দামান সমুদ্র ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে একটা নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২৬ তারিখ সন্ধের মধ্যে এই নিম্নচাপ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় পৌঁছে যাবে। সেখানে ঝড়ের রূপ নিলেই একে ইয়াস বলা হবে।


এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের পরই উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড। বিমান বা এভিয়েশন ইউনিটকেও হাই অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইয়াসের আশঙ্কায় তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিব তথা আন্দামান নিকোবর আইল্যান্ডের প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ। অবিলম্বে উপকূলবর্তী জেলায় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। 


ভূষণ বলেছেন, ''ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪মে উত্তর আন্দামান সমুদ্রের ওপর একটা নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরে যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ২৬ মে-র সকালের মধ্যে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এই ঝড়ে। এ ছাড়াও আন্দামান নিকোবর দ্বীপে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যা থেকে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।''


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের আশঙ্কা, উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হারে বেড়ে যেতে পারে। তাঁর কথায়, একই সঙ্গে ঝড়, বন্যার ফলে শিবিরে আশ্রয় নিতে হবে বহু মানুষকে। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টা মেনে চলা খুবই কঠিন। ফলে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের উপকূলবর্তী এলাকায় আগে থেকেই 'হেলথ সেক্টর ইনসিডেন্ট কমান্ড সিস্টেম', ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলেছে কেন্দ্র। এই ক্ষেত্রে নোডাল অফিসার চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে সেই নম্বর পাঠিয়ে দিতে বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব।