লখিমপুর : কোভিড মহামারীতে স্কুলছুট ছেলেকে মদ বিক্রিতে বাধ্য করাল বাবা। ১০ বছরের ছেলেকে দিয়েই চলল মদ পরিবেশন। খবর পেয়েই নাবালকের বাবা ও কাকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নিঘাশনে।
বার বার মদ বিক্রিতে আপত্তি জানিয়েছিল ছেলে। যার জন্য বাবার কাছে মার খেতে হয়েছিল বহুবার। নাবালককে মদ বিক্রিতে বাধ্য করেছিল তার কাকা। সম্প্রতি ১০ বছরের এই ছেলের মদ বিক্রির একটি ভিডিও হাতে আসে পুলিশের। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় নিঘাশন থানার পুলিশ। উদ্ধার করা ওই নাবালককে। গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালকের বাবা ও কাকাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, করোনার সময় স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় ওই নাবালক। এরপরই তাকে মদ বিক্রিতে জোর করতে থাকে বাবা ও কাকা। কথা না শুনলে শুরু হয় মারধর। শেষে বাধ্য হয়েই মদ বিক্রিতে সায় দেয় ছেলে। ইতিমধ্যেই আবগারি ও জেজে আইনে নাবালকের বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে মমালা দায়ের করেছে পুলিশ। মায়ের কাছেই ফের ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিঘাশন পুলিশ স্টেশনের এসএইচও ডিকে সিং জানিয়েছেন, নাবালকের মদ বিক্রির ভিডিও দেখার পরই অনুসন্ধান শুরু করেন তাঁরা। পরে জানতে পারেন, কৃপাকুন্ড গ্রামে একটি মুদির দোকানে এই বেআইনি মদের আসর বসে। যেখানে দোকানের পিছনে ছোট পানশালায় মদ পরিবশেন করে ১০ বছরের ওই ছেলে। পুলিশি অভিযানের সময় দোকানেই ছিল ছেলের বাবা। বেআইনি মদ তৈরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে নাবালকের কাকা। ঘটনাস্থল থেকেই পাওয়া যায় ১১৫ লিটারের বেআইনি মদ। পরে যা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে খেরির সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ বিজয় ধুল জানিয়েছেন , গত ২ বছর ধরে মুদির দোকানের পিছনে বেআইনি মদের ঠেক চালাত নাবালকের বাবা ও কাকা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবথেকে ছোট সে। নিয়ম মেনে 'চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি'র কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে নাবালককে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৬০/২ ও আবগারি আইনের ২৭২ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও 'জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট'-এর ৬৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে নাবালকের বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে। যদিও পরে 'চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি'র সিদ্ধান্তে মায়ের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ছেলেকে।