গাজিয়াবাদ(উত্তরপ্রদেশ) : ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসেই রক্ষে নেই, এখন আবার ইয়েলো ফাঙ্গাস। দেশজুড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই এবার ইয়েলো ফাঙ্গাসের কেস সামনে এল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির ENT সার্জেন ডক্টর ব্রিজ পাল ত্যাগীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের থেকেও এটি বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে।


ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ কী ?


এই ছত্রাক সংক্রমণে অলসতা, কম খিদে বা একেবারেই না খিদে থাকার মতো সমস্যা দেখা যাবে। এর পাশাপাশি ওজন কমবে।


ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ যদি গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে ফোঁড়া বা ঘা থেকে পুঁজ বের হতে পারে। এছাড়া শরীরে কোনও ক্ষত থাকলে তা ধীরে ধীরে সেড়ে উঠবে। এমনকী অপুষ্টি, অর্গান ফেলিওর বা জড়ানো চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


ইয়েলো ফাঙ্গাস এক ধরনের মারাত্মক রোগ। এটি শরীরের অভ্যন্তরে শুরু হয়। তাই উপরোক্ত কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করানো প্রয়োজন।


ইয়েলো ফাঙ্গাসের কারণ ?


খারাপ স্বাস্থ্যবিধি(হাইজিন) মূলত ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমের কারণ। তাই বাড়ির চারপাশ যতটা সম্ভব সবসময় পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। পুরানো খাবার ফেলে দিন। এছাড়া বাড়িতে মল জমা থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন। যাতে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস না জন্মায়।


বাড়ির আর্দ্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অতিরিক্ত আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বৃদ্ধির পক্ষে উপযুক্ত পরিবেশ। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আর্দ্রতা সঠিক।   


ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা


ইয়েলো ফাঙ্গাসের একমাত্র চিকিৎসা Amphotericin B ইঞ্জেকশন। 


এদিকে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এপর্যন্ত ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে মুকরমাইকোসিসের ৫ হাজার ৪২৪টি কেস পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৫৬ জন করোনা সংক্রমিত ছিলেন। আর ৫৫ শতাংশের ছিল ডায়াবেটিস।


স্বাভাবিকভাবেই ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের পর এই কোভিড আবহে নতুন করে চিন্তা বাড়াল ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমণ।