কলকাতা: ভরদুপুরে থানায় ঢুকল যুবক। কর্তব্যরত অফিসারকে বলল, আমি ৩ জনকে খুন করে এসেছি। আত্মসমর্পণ করতে চাই। বছর পঁচিশের ওই যুবকের কথা শুনে কার্যত তখন হতচকিত পুলিশকর্মীরা।
কী ঘটেছে তা বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয় যুবকের থেকে। তার মুখ থেকে ঘটনাক্রম জানতে পেরে কার্যত থ বনে যান তাঁরা। যুবককে গ্রেফতার করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, একবালপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে চাওয়া সুলতান আনসারি নামে ওই যুবক জানায়, আক্রোশের বসে সে তার বৌদি ও ২ ভাইঝিকে খুন করেছে।
যুবকের থেকে ঠিকানা নিয়ে একবালপুরের সুধীর বসু রোডের একটি বাড়িতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরা দেখেন, একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৪৫ বছরের এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়ে।
এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা চিকিত্সকদের। দুই মেয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা আকিদা খাতুনের দূর সম্পর্কের দেওর অভিযুক্ত সুলতান আনসারি। সে বড় ভাইঝিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরিবার তা না মানায় এই হামলা বলে মনে করছে পুলিশ।
ঘটনার সময় গৃহবধূ ও তাঁর দুই মেয়ে সগুফতা ও তৈবা বাড়িতে ছিলেন। তাঁর স্বামী ও আরও দুই মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। প্রথমে তাঁদের সঙ্গে যুবকের বচসা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারপরই ধারাল অস্ত্র নিয়ে বৌদির ওপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন দুই মেয়ে। প্রথমে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। তারপর শিলনোড়া দিয়েও তিনজনকে থেঁতলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করছে।
ঘটনার পরই একবালপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সুলতান। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে নোড়া।