পাকিস্তানের চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতি মালহোত্রকে নিয়ে এখন প্রতিদিনই উঠে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। ২০২৩ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে ৩ বার পাকিস্তান গেছেন জ্যোতি। দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনেও তাঁর যাতাযাত ছিল। এ কথ এখন সকলেরই জানা । কিন্তু এর থেকেও চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন সামনে। পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর দহরম মহরমের নতুন এক নমুনা মিলেছে তাঁর করা ভিডিও থেকেই। 

২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার সময়ই দানিশের সঙ্গে পরিচয় হয় জ্যোতির। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পরও পাক দূতাবাসের আধিকারিক দানিশনের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। তাঁর আমন্ত্রণেই দিল্লিতে পাক দূতাবাসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জ্যোতি। সামনে এসেছে সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও-ও। সেখানে দানিশের সঙ্গে দেখা গিয়েছে জ্যোতিকে। আবার এই ভিডিওতে পাক হাই কমিশনের যে কর্মীর সঙ্গে জ্য়োতিকে দেখা গিয়েছে   সেই কর্মীকেই পহেলগাঁও হামলার পরে দেখা গিয়েছিল পাক হাইকমিশনে কেক নিয়ে ঢুকতে । 

গত ২২ এপ্রিল  জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর পর দেখা যায়  এক ব্যক্তিকে  দিল্লিতে  পাকিস্তান দূতাবাসে কেক নিয়ে ঢুকতে। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হল কার জন্য কেক নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে একটি কথাও বলেনি।

তবে, পরে যখন ওই ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হয়, তখন দেখা যায় জ্যোতি মালহোত্রর তোলা ভিডিওতেও সে রয়েছে।    জ্যোতি মালহোত্রর একটি ভিডিওতে এমন এক ব্যক্তি দেখা গেছে যাঁর চেহারা পাকিস্তান দূতাবাসে কেক নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায়। ফলে জ্যোতি মালহোত্র ওই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারেন। 

গোয়েন্দাদের অনুমানসন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে সারা বিশ্বে পাকিস্তানের যা বদনাম, তাতে  বেশিরভাগ দেশই পাকিস্তানের সঙ্গে দাঁড়াতে রাজি নয়। অপারেশন সিঁদুরের পরেও যখন পাকিস্তান সারা বিশ্বের দোরে দোরে সমর্থন ভিক্ষে করে বেরিয়েছে, তখন একমাত্র তুরস্কই খোলাখুলিভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করার ঘোষণা করেছে। তবে পাকিন্তানের এই হালহকিকত বহুদিন ধরেই। তাই পুরো বিশ্বের কাছে নিজের ভাবমূর্তি ভাল রাখা পাকিস্তানের পক্ষে খুব দরকার। সেটার জন্যই হয়ত জ্যোতির মতো ইনফ্লুয়েন্সরদের কাজে লাগাতে চায় তারা।  

এরপর জ্যোতি মালহোত্রপাকিস্তানের খরচে তিনবার পাকিস্তান ভ্রমণ করেন এবং পাকিস্তানের প্রচারের অংশ হিসেবে তাঁর ভিডিওতে পাকিস্তানের ভালো দিকগুলি দেখান। শুধু তাই নয়, পাহলগাঁও হামলার পরেও জ্যোতি মালহোত্র এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করার পরিবর্তে ভারতের উপরই আঙুল তুলেছেন।