নয়া দিল্লি: চুইংগাম নিয়ে মানুষের মধ্যে ভিন্ন ধরনের ক্রেজ রয়েছে। চুইংগাম কী কারণে কেউ খেয়ে থাকেন সেটার নিজস্ব কারণ রয়েছে। কেউ বলে যে এটি মুখের চর্বি দূর করবে, কেউ চোয়ালের রেখা তৈরি করতে চায়, কেউ মনে করে যে এটি চিবিয়ে তারা মুখ ঠাণ্ডা রাখতে পছন্দ করেন।
এই চুইংগাম দিয়ে বেলুন ফুলিয়ে শিশুরা এমনই খুশি হয়, যেন সারা পৃথিবীর সুখ তারা পেয়েছে। এটি অনেক সময় ঘটে যে লোকেরা ভুলবশত এটি অনেকে গিলে ফেলে। এটি শরীরের উপর কী প্রভাব ফেলে?
চুইংগামের প্রভাব কী?
চুইংগাম শরীরে পৌঁছলে কী ক্ষতি হয় সে বিষয়ে নানা কথা রয়েছে। কেউ কেউ বলে যে এটি শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে, অন্যরা যুক্তি দেয় যে এটি অন্ত্রে আটকে থাকে। যদিও এটি কিছু ক্ষেত্রে সত্য। কিন্তু সাধারণত চুইংগাম গিলে ফেলার সময় যেভাবে অন্য কোনো পদার্থ মল দিয়ে বের হয় ঠিক সেভাবে তা শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের চুইংগামের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
শরীর থেকে বের হতে কতক্ষণ লাগে ?
স্বাভাবিক অবস্থায় চুইংগাম শরীর থেকে বের হতে এক থেকে দুই দিন সময় লাগে। রাবারি হওয়ায় শরীরের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে একটু বেশি সময় লাগে।
যদি শরীর একদিনে চুইংগাম অপসারণ করতে সক্ষম না হয়, তবে এমন পরিস্থিতিতে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। চুইংগাম শরীর থেকে বের না হলে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে, কারো কারো ক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। বমি বমি ভাব, নার্ভাসনেস এর মতো সমস্যাও হতে পারে এর কারণে। কিছু লোকের অ্যালার্জিও হতে পারে।
ডাক্তাররা কী বলে থাকেন?
এ বিষয়ে শিশুদের সতর্ক থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা। যে কারণে তাদের আরও সমস্যা হতে পারে। যদিও বড়দেরও চুইংগাম চিবানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।