কলকাতা: পশ্চিমী দুনিয়ার ছোঁয়া বহুদিন আগেই লেগেছে ভারতে। ক্রিস্টমাস (Christmas) তাই ভারতের শিশুদের একটি বড় অংশের কাছেও ইচ্ছেপূরণের দিন। রাতের বেলায় ছোট্ট মোজা ঝোলানো থেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বালিশের তলা হাতড়ানো- ছোট্ট থেকে এমন অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে।


কিন্তু শুধুই কি অপেক্ষা? সান্তা বুড়ো কখন কোথায় চরকিপাক খাচ্ছে তা কি দেখা যাবে না? যদি বলা হয় সম্ভব?


এমনই একটি কাজ করে NORAD. এটি আমেরিকা (America) ও কানাডা (Canada) সেনার যৌথ একটি সংস্থা। কয়েক দশক ধরেই তারা এই কাজ করে আসছে। ক্রিস্টমাসের সময় নিয়ম করে এই ট্র্যাকিং নাকি হয়ে থাকে। এই পুরোটাই শিশুদের খুশির জন্য।


https://www.noradsanta.org/ - এই ওয়েবসাইট খোঁজ দেয় সান্তাক্লজের। এটি একটি 3D ইন্টাব়্যাক্টিভ ওয়েবসাইট। সান্তাক্লজ কখন কোথায় তাঁর উপহারের ডালি নিয়ে পৌঁচ্ছছে তার যাবতীয় আপডেট দেওয়া হয় এখানে। গোটাটাই থ্রি-ডি ম্যাপের মাধ্যমে। বলাই বাহুল্য যে গোটাটাই কাল্পনিক। এই ডেলিভারি রুটে যে যে শহর পড়ে, সেই শহরগুলির ব্যাপারে জানারও সুযোগ থাকে। ক্লিক করলেই খুলে যায় যাবতীয় তথ্যের পেজ।


শুরুর গল্পটা মন ছুঁয়ে যায়...
NORAD বা North American Aerospace Defense Command- ১৯৫৫ সাল থেকে এই কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু সেনা কেন এমন কাজ শুরু করল? এর পিছনে রয়েছে অবাক করার মতো গল্প। সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, সেই সময় কলোরাডোর একটি খবরের কাগজে একটি বিজ্ঞাপন বেরোয়, সান্তাক্লজ কোথায় রয়েছে তা যাতে শিশুরা জানতে পারে, সেই কারণেই ওই ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও একটি ভুলবশত ফোন যাচ্ছিল সেনার দফতরে। শিশুদের মন যাতে না ভাঙে তার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন NORAD-এর তৎকালীন ডিরেক্টর অফ অপারেশন কর্নেল হ্যারি শ্যুপ (Colonel Harry Shoup)। একটি ট্র্যাকার সাজিয়ে শিশুদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া শুরু করেন তাঁর দফতরের কর্মীরা।



তারপর থেকে এখনও এই ধারা বজায় রেখেছ NORAD. ক্রিস্টমাসের (Christmas 2023) সময় অস্থায়ী কল সেন্টার তৈরি করা হয় শিশুদের প্রশ্নবাণ সামলানোর জন্য। 


গুগলের তরফে এমনই Santa Tracker-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। সেখানে রয়েছে ইন্ট্যাব়্যাক্টিভ গেমের ব্যবস্থাও। মিলবে https://santatracker.google.com/ এই ওয়েবসাইটে।


আরও পড়ুন: এই গ্রামে ভূতের সঙ্গে দেখা করতে যান সকলে! বিশ্বের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গা এটিই!