নয়াদিল্লি: পাহাড়ের বুক থেকে ঝরঝরিয়ে নেমে আসছে ঝরনা। দূর থেকেই শোনা যায় জলের স্রোতের শব্দ। বছরের বাকি সময়ে এই চেনা ছবিটা এখন আর নেই। পুরো ঝরনাটাই যেন থেমে রয়েছে একটি মুহূর্তে। কারণ গোটা ঝরনাটাই জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। এমনই ছবি কাশ্মীরের দ্রুং ঝরনার (Waterfall)। 


কাশ্মীর উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে সারা বিশ্ব থেকে ভিড় জমান পর্যটকরা (Tourist)। সেই কাশ্মীরেরই (Kashmir) অন্যতম আকর্ষণীয় ঝরনা এই দ্রুং (Drung Waterfall)। শীত পড়তেই চেহারা পাল্টে যায় গোটা ঝরনার। পুরোটাই পরিণত হয় বরফে। গুলমার্গের তাংমার্গ (Tangmarg)এলাকায় রয়েছে এই ঝরনা। শ্রীনগর থেকে সহজেই যাওয়া যায় এখানে। শীতকালে শুধুমাত্র জমে যাওয়া ঝরনা দেখতেই এখানে ভিড় জমান বহু পর্যটক। 


ঝরনা নাকি বরফের দেওয়াল: 
গোটা ঝরনা যেন বরফের দেওয়াল। শুধুমাত্র এই দৃশ্য দেখার জন্যই শীতের মরসুমে এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। এই মরসুমেও নিরাশ হননি কেউ। শৈত্যপ্রবাহে (Cold Wave) জবুথবু কাশ্মীরে বরফ-ঝরনা দেখতেই ভিড় জমিয়েছে অসংখ্য পর্যটক। পাহাড়ের দেওয়ালেও যে জলের আস্তরণ ছিল, সেটাও দমে বরফ হয়ে গিয়েছে। জমে গিয়েছে ঝরনা থেকে তৈরি হওয়া নদীটাও।


 



গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় এখন শৈত্যপ্রবাহ চলছে। হিমাঙ্কের (Freezing Point) নীচেই রয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শ্রীনগর, থেকে লাকাধ উপত্যকা সর্বত্রই একই ছবি। আরও শীতের পূর্বাভাসের (Forecast) কথা বলেছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে পশ্চিমা ঝঞ্ঝা (Western Disturbances)-এর প্রভাব থাকবে আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত। আগামী ২-৩ দিন পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি বা তুষারপাতের (Snowfall) পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department )। 


দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলগামে (Pahalgam)-এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বারামুল্লাতে গুলমার্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 


হয়েছে তুষারধসও:
কাশ্মীরে শীতের মরসুমে জাঁকিয়ে  পড়েছে শীত। তার সঙ্গেই ঘটেছে তুষারধসের মতো ঘটনাও। পরপর দুইবার একই ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে। সোনমার্গে একটি নির্মাণসংস্থার শ্রমিক ব্যারাকের কাছে তুষারধস ঘটে। সেই ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।


আরও পড়ুন: বয়সকে হেলায় উড়িয়ে আশিতেও ম্যারাথনে, শাড়ি পরে দৌড়লেন মুম্বইয়ের বৃদ্ধা