রালে (নর্থ ক্যারোলাইনা): 'এবার তো বেঁচে ফিরতেই হচ্ছে (পড়ুন নেমে আসতেই হচ্ছে)। গেম অন!' দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো বলেছিলেন ভিনসেন্ট ফ্রেজার। কিন্তু ইঞ্জিনের (engine) পাওয়ার চলে যাচ্ছে হুড়মুড়িয়ে। জরুরি অবতরণ (emergency landing) করতেই হবে। এদিকে অবতরণের জায়গা বলতে চার লেনের একটা সড়ক (road)। যেখান দিয়ে গাড়ি চলছে অনবরত। এমন রাস্তায় কী ভাবে নামবে বিমান??
কী ঘটেছিল?
সামনে নিশ্চিত মৃত্যু! তবু ককপিটের (cockpit)নিয়ন্ত্রণ ছাড়েননি ফ্রেজার। মনে মনে বলেছিলেন, 'এবার তো বেঁচে ফিরতেই হচ্ছে (পড়ুন নেমে আসতেই হচ্ছে)। গেম অন!' পাশে শ্বশুরমশাই। তাঁকে নিয়ে বিমানে চক্কর দিতে বেরিয়েছিলেন ফ্রেজার। শ্বশুরমশাই জমি কিনবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার আকাশপথে জমির হালহকিকত দেখতে চেয়েছিলেন। সেই জন্যই সিঙ্গল ইঞ্জিন এয়ারক্রাফটে চড়ে বসেছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই 'পাওয়ার' যেতে শুরু করে বিমানের। এবার কী করা?
উপায় যখন নেই তখন নিচের চার লেনের রাস্তাতেই বিমানের জরুরি অবতরণ করাতে হবে। ঠিক সেটাই করিয়েছেন ফ্রেজার। নিরাপদে, নির্বিঘ্নে। কোনও গাড়ির সঙ্গে একচুলও ধাক্কা লাগেনি। রাস্তার ধারে টাঙানো বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংঘর্ষ লেগেও কোনও বিপদ ঘটেনি। সবটা বাঁচিয়ে নিরাপদে অবতরণ করেছেন আদতে ফ্লোরিডার বাসিন্দা ভিনসেন্ট ফ্রেজার। ঘটনাটি অবশ্য নর্থ ক্যারোলাইনার। গত ৩ জুলাই এমনই বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকে নর্থ ক্যারোলাইনার (north carolina) একাংশ।
সাক্ষী ক্যামেরা...
তবে শুধু তাঁরা নন। ফ্রেজার জানালেন, ককপিটে একটি গো প্রো ক্যামেরা ছিল। সেখানে গোটা পর্বটাই রেকর্ড করা হয়েছে। পরে সেই রেকর্ডিং সোয়েইন কাউন্টি শেরিফের দফতর ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। সেখানেই দেখা যায়, কী ভাবে একের পর এক গাড়ি টপকে অবতরণ করেছেন ফ্রেজারের বিমান। ভিডিও দেখে চমৎকৃত সোশ্য়াল মিডিয়া। প্রাক্তন নাবিক ফ্রেজার বর্তমানে ফ্লাইট অ্যাটেনড্য়ান্ট হিসেবে কাজ করেন। সংবাদসংস্থা এপি-কে জানালেন, ঘটনার আগে পর্যন্ত ধন্দে ছিলেন আদৌ কখনও বাণিজ্যিক বিমান ওড়াতে পারবেন কিনা। কিন্তু এখন সবটা স্পষ্ট। বিমানের সফল অবতরণে আত্মবিশ্বাসী ফ্রেজারের এখন নতুন উড়ান শুরুর পালা।
আরও পড়ুন:কলকাতা রেলস্টেশনের কাছে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার এক