নয়াদিল্লি: দু'মাসের বিদ্যুতের বিল ৪৫ হাজার টাকা! দেখে মাথায় হাত গুরুগ্রামের বাসিন্দা (Gurugram Huge Electricity Bill), যশবীর সিংহের। বিল তিনি চুকিয়ে দিয়েছেন ঠিকই, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'এবার ভাবছি, মোমবাতির আলোয় ফিরে যাব।' এই পোস্টই এখন তুমুল আলোড়ন ফেলেছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা দ্বিধাবিভক্ত। এক দলের বক্তব্য, বেশি খরচ করলে মাশুল তো দিতে হবেই। অন্য দলের পরামর্শ, খরচ কমাতে হলে বিকল্প শক্তির উপর ভরসা করুন।


বিশদ...
যশবীরের কথাটা তা হলে আরও একটু বিশদে বলা যাক? পেশায় গুরুগ্রামেরই একই অ্যাপ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা যশবীর। দু'মাসে তাঁর বিদ্যুতের বিল এসেছিল ৪৫ হাজার ৪৯১ টাকা। সে কথা এক্স হ্যান্ডলে লিখে ফেলেন যশবীর। 'বিল মিটিয়ে দিয়েছি, তবে ভাবছি, এবার মোমবাতিতেই ফিরে যাব কিনা!' পোস্ট হতে না হতেই সাড়ে ৭ হাজার লাইক পড়ে গিয়েছে, কমেন্টের বন্যা বললেও কম বলা হয়। সকলেই যে অ্যাপ-সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতার পাশে দাঁড়িয়েছেন, এমন নয়। তবে সার্বিক ভাবে তাঁর পোস্ট আপাতত অন্যতম ভাইরাল বিষয়। আর তাতে নানা মুনির নানা মত। কী রকম?

প্রতিক্রিয়া...
এক সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারকারী যেমন লেখেন, 'আপনার বাড়ির আয়তন কত? এসি, আলো, ওয়াশিং মেশিন, ড্রায়ারের মতো কী কী রয়েছে? আপনি যদি বেশি বিদ্যুতের ইউনিট খরচ করেন, তা হলে বেশি টাকা দিতে হবে।যেমন আপনি দুমাসের কথা জানাননি, নিজের সুবিধা মতো এড়িয়ে গিয়েছেন। হয় নিজের বিদ্যুতের খরচ কমান নয়তো বেশি খরচ করতে তৈরি থাকুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে হইচই করার কোনও মানে হয় না।' নেটিজেনদের অন্য একটি অংশ আবার বিকল্প শক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন সৌরশক্তি। এতে যেমন ব্যক্তিগত ভাবে ভাল লাগবে, তেমনই দীর্ঘমেয়াদি ফয়দাও হবে, পরামর্শ দিয়েছেন নেটিজেনদের ওই অংশ। তাঁদেরই এক জনের কথায়, 'এটি যদি সত্যি হয়ে থাকে এবং বাড়িটিও যদি আপনার নিজের হয়, তা হলে বলব সৌরশক্তি বেছে নিন। আমি তাই করেছি এবং তাতে ভীষণ খুশি। এককালীন এই বিনিয়োগ আপনাকে জীবনভরের মতো বাঁচিয়ে দেবে।' নেটিজেনদের কেউ কেউ আবার কারণ বিশ্লেষণও করেছেন। তাঁদের মতে, মূলত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অত্য়ধিক ব্যবহারের ফলেই বিদ্য়ুতের মাশুল এতটা বেড়ে গিয়েছে। এক জন আবার লেখেন, এই দেশেরই কোনও এক প্রান্তের ছোট একটি পরিবারের গোটা মাসের খরচের অঙ্ক এই বিলের সমান।


আরও পড়ুন:গোলাপি রং? সত্য়ি না কি ভুয়ো? নেটদুনিয়ায় এখন ভাইরাল এই ছবি