লন্ডন: শান্তির পায়রা, সুখের পায়রা (pigeons)! অনেক পায়রার কথাই শোনা যায়। কিন্তু ঘাড় (twisted neck)বাঁকা এ কীরকম পায়রা? ভূত নাকি? ব্রিটেনের জার্সি আইল্যান্ডের বাসিন্দা এই 'জম্বি পিজিয়নস'-দের (zombie pigeons) ছবি এখন তুমুল আলোড়ন ফেলেছে (viral) সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষত ২০২০ সালের একটি ফুটেজ এই মুহূর্তে নতুন করে সাড়া ফেলেছে। কিন্তু সত্যি কি ভূতুড়ে ব্যাপার নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে?


কী ঘটেছিল?
ভূত নয়, নেপথ্যে রয়েছে এক রহস্যজনক অসুখ। রোগের নাম 'pigeon paramyxovirus'? কী হয় এতে? ঘাড় একদিকে হেলে যাওয়ার পাশাপাশি মাথা ও ডানায় কাঁপুনি দেখা দেয় আক্রান্ত পায়রাদের। ব্রিটেনের জার্সি আইল্যান্ডে এই রোগে আক্রান্ত পায়রার সংখ্য়া ক্রমেই বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট  দফতরের বক্তব্য, অসুখটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। মূলত পায়রার বিষ্ঠা ও অন্যান্যা নিঃসরণ থেকে এগুলি ছড়ায়। আক্রান্ত পায়রাদের বহু ক্ষেত্রেই সব দিক ভেবে-চিন্তে ইউথানেসিয়া করার প্রথা রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে একটি পুরনো ভিডিও ভয়ঙ্কর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ২০২০ সালের। তাতে দেখা যাচ্ছে, রোগে আক্রান্ত পায়রাটির ঘাড় অদ্ভূত ভাবে হেলে যাচ্ছে। কিম্ভূতকিমাকার কায়দায় গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে সে। একনজর দেখলে মনে হবে, যেন ভূতুড়ে কীর্তি। কিন্তু আসল রহস্য রয়েছে অসুস্থতায়। নাম হয়েছে 'জম্বি পিজিয়নস'। ভিডিওটি দেখে কার কারও আবার হিচককের 'দ্য বার্ড' ছবিটির কথাও মনে পড়ে যাচ্ছে। হুবহু এক ঘটনা না হলেও সেই ছবিতে আগ্রাসী পাখিদের কথাই তুলে ধরেছিলেন হিচকক।






'দ্য বার্ড'...
ছবিটিতে দেখা যায়, কোনও কারণে হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে সান ফ্রান্সিসকোর বোদেগা বে অঞ্চলের পাখিরা। গল্পের টানে ছবির নায়িকা সেখানে এসেছিলেন। তার পর থেকেই অদ্ভূত মোড় নেয় ছবিটি। শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। কোনও বাড়ির বাইরে বেরোলেই দল বেঁধে আক্রমণ শুরু করে তারা। কেন এমন হচ্ছে, তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। কিন্তু পাখিদের হামলায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে ওঠে এলাকাবাসীর। সবটাই অবশ্য হিচককের রুপোলি পর্দার গল্প। বাস্তবের 'জম্বি পিজিয়নস' আদপেই মারকুটে নয়। বরং তারা অসুস্থ। তবে দূর থেকে দেখে তাদের গতিবিধি কিছুটা ভূতুড়ে ঠেকেছে অনেকেরই। নামকরণও সেই মতোই করেছেন তাঁরা।


    

আরও পড়ুন:একা ডেঙ্গিতে রক্ষা নেই, ম্যালেরিয়াও দোসর! ২ মাসে আক্রান্ত ৩ গুণের বেশি