কলকাতা: ইনস্টাগ্রামে তাঁর ছবিতে উপচে পড়ত লাইক আর কমেন্ট। তাঁর ফলোয়ার ছিল বহু। তাঁর চেহারাকে হারকিউলিসের সঙ্গে তুলনাও চলত। ব্রাজিলের বডিবিল্ডার ড. রডলফ দুয়ারতে রিবেরিও ডস স্যান্টোস (Doctor Rodolfo Duarte Ribeiro dos Santos)- তাঁকে দেখে শরীরচর্চার জন্য উদ্বুধ্ব হতেন অনেকে। তাঁকে দেখে বলিবিল্ডিংয়ের কথা ভাবতেন। কিন্তু, পেশিবহুল এবং ফিট দেখতে ওই ব্যক্তিই চলে গেলেন অকালে। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে। মৃত্যুর কারণ? লিভারে হ্যামারেজ এবং তার পরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac Arrest)। খবর, CNN Brasil সূত্রে।
এত শরীরচর্চা, এত ডায়েট- এটাই তো সবাই ফিট থাকার মন্ত্র করে। তারপরেও হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কীভাবে? একরাশ শোকের সঙ্গে এমনই প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
১৯ নভেম্বর তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ড. রডলফ দুয়ারতে রিবেরিও ডস স্যান্টোস। পেশায় ডাক্তার এই ব্যক্তি, নেশার বডিবিল্ডার। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ১০ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছেন। সম্প্রতি বডিবিল্ডার ক্যারোলিন স্যাঞ্চেজের (Caroline Sanches) সঙ্গে বাগদান হয়েছিল তাঁর। ড. রডলফ সাওপাওলোর দক্ষিণের একটি ক্লিনিকে ডাক্তার হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ক্যারোলিন স্যাঞ্চেজ সেখানেই পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করেন। তাঁর প্রতিদিনের জীবনের টুকরো ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেন ড. রডলফ। তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে শরীরচর্চা, প্রতিদিন জিমের ছবি- সবই পোস্ট করতেন। আর সেসবই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন অনুরাগীরা।
কেন এই মৃত্যু:
CNN Brasil এবং একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ড. রডলেফের লিভারে টিউমার ছিল। কিন্তু সেটার জন্য তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। Benign Tumor-বা Adenoma -এর কারণেই একটি হেমারেজ হয় তাঁর লিভারে। তারপরেই কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্ট। এই কারণেই তিনি মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল।
তাঁর মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যেহেতু তিনি বলিবিল্ডার ছিলেন, তার জন্য Anabolic Steroids নিতেন কি না, সেটা হলে স্টেরয়েড নেওয়ার জন্যই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও, ড. রডলেফস যেখানে ডাক্তার হিসেবে কাজ করতেন সেই ক্লিনিকের তরফে এমন ধরনের দাবি নস্যাৎ করা হয়েছে।
এমন একজন ব্যক্তি, যিনি পেশায় ডাক্তার-নেশায় বডিবিল্ডার। এমন একজন যিনি শরীরচর্চায় এতটা মনোযোগী, তাঁর এরকম মৃত্যু কীভাবে হতে পারে। এমন প্রশ্নই উঠছে বারবার।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৩ বছর পর প্রথম পরিবর্তন, কীভাবে বদলে গেল ভারতীয় কয়েন?