নয়াদিল্লি : ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। কার্গিল বিজয় দিবস ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে লড়াই করা ভারতীয় জওয়ানদের সম্মানে পালিত হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে যেখান থেকে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানি সৈন্যদের বিতাড়িত করেছিল সেখানে মুসলমান জনসংখ্যা কত ? চলুন জেনে নেওয়া যাক কার্গিল শহরের জনসংখ্যা সম্পর্কে...
লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। লাদাখে দু'টি জেলা রয়েছে। একটি হল- লেহ এবং অপরটি- কার্গিল। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বও কার্গিলকে চেনে। সেবছর কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং কাবালি বাহিনীকে কার্গিল পাহাড় থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। কার্গিলকে 'বীরদের দেশও' বলা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কার্গিলের জনসংখ্যা কত এবং সেখানে কত শতাংশ মুসলমান এবং কত শতাংশ হিন্দু বাস করে ? চলুন জেনে নেওয়া যাক কার্গিলে কোন কোন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন।
কার্গিলের জনসংখ্যা-
কার্গিল লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি পাহাড়ি অঞ্চল। এখন প্রশ্ন হল, কার্গিল জেলার জনসংখ্যা কত ? ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কার্গিলের জনসংখ্যা ১,৪০,৮০২। কার্গিল একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা, মানে এখানে মুসলমানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুসারে কার্গিলে মুসলমানদের জনসংখ্যা ৭৬.৮৭ শতাংশ। যেখানে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৭.৩৪ শতাংশ।
এ ছাড়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ১৪.২৯ শতাংশ এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ০.৪৩ শতাংশ। শিখ ধর্মের মানুষ ০.৮৩ শতাংশ, জৈন ০.০২ শতাংশ।
কখন আসে মুসলিমরা ?
এখন প্রশ্ন হল কার্গিলে মুসলিমরা কবে থেকে আছে ? তথ্য অনুসারে, ১৫ শতকে কার্গিলে ইসলামের আগমন। মধ্য এশিয়ার একজন পণ্ডিত মীর শামস-উদ-দিন ইরাকি ইসলাম ধর্মের প্রচারের জন্য তাঁর ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে বাল্টিস্তান এবং কার্গিল সফর করেন। এটা মনে করা হয় যে, বাল্টিস্তানের প্রধানরা প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তারপর কার্গিলের প্রধানরা ইসলাম গ্রহণ করেন। মীর শামস-উদ-দিনের আগে, ইরাকি খাজা নূরবখশ কারগিল পরিদর্শন করেন এবং অনেক ইসলামিক উপদেশ দেন।
১৯৭৯ সালে কার্গিল লাদাখ অঞ্চলের একটি পৃথক জেলা হয়ে ওঠে। এটিকে লেহ জেলা থেকে পৃথক করা হয়েছিল। লাদাখ স্বায়ত্ত্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ কার্গিল জেলায় ২০০৩ সালের জুলাই মাসে বাস্তবায়িত হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।