Suchir Balaji: 'ওপেন এআই' সংস্থার একজন কর্মী এবং এআই গবেষক ছিলেন সুচির বালাজী। ২৬ বছরের এই তরুণের রহস্যময় মৃত্যু হয়েছে বিগত ২৬ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে ওপেন আই সংস্থার চ্যাটজিপিটিকে (Suchir Balaji Death) ঘিরে, সংস্থার সংস্কৃতি এবং কাজের পদ্ধতিকে ঘিরে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছিলেন সুচির এবং কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করেছিলেন। তারপরেই ২৬ নভেম্বর সানফ্রান্সিসকোয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। সানফ্রান্সিসকো পুলিশ এবং চিফ মেডিকেল অফিসারের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে এই মৃত্যু যে আত্মহত্যা হতেও পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে চিফ মেডিকেল এক্সামিনারের অফিস। পুলিশদের বক্তব্য এতে আত্মহত্যা সম্পর্কিত প্রমাণ থাকতে পারে। ফলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুচিরের এই রহস্যময় মৃত্যুকে ঘিরে টেক দুনিয়ায় শোরগোল চলছে।
কে এই সুচির বালাজী
আমেরিকার বার্কলের ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুচির বালাজী। কলেজে পড়ার সময় থেকেই ওপেন এআই (Suchir Balaji Death) সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করেন তিনি এবং একইসঙ্গে স্কেল এআই সংস্থাতেও শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ওপেন এআই সংস্থায় কাজে যোগ দেন তিনি। দারুণ দারুণ সব প্রজেক্টে তিনি এই সংস্থায় ৪ বছর কাজ করেছেন। জিপিটি ৪ নির্মাণ এবং চ্যাটজিপিটির কর্মদক্ষতা আরও ভাল করতে তাঁর অবদান রয়েছে অনেকাংশেই। তবে এই উজ্জ্বল কর্মজীবনের মাঝেই ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর পৃথিবী ছাড়লেন সুচির।
ওপেন এআই ছেড়েছিলেন সুচির
এই বছরই অগাস্ট মাসে ওপেন এআই (Suchir Balaji Death) সংস্থা থেকে অব্যাহতি নেন সুচির বালাজী এবং সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে সংস্থার কিছু কিছু কু-অভ্যাস কিংবা খারাপ বাণিজ্যিক কৌশলের কারণেই তিনি কাজ ছেড়েছিলেন। এআই প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে ওপেন এআই সংস্থার আইনি, নীতিগত আচরণে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না সুচির। প্রথমদিকে প্রচুর ভাল ভাল কাজ করেছেন সুচির, কিন্তু পরে সেই তিনিই সংস্থার কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করতে থাকেন। কপিরাইটসম্পন্ন তথ্যের উপর সংস্থার বেশি মাত্রায় নির্ভরশীলতাকে ভাল চোখে দেখেননি তিনি। এমনকী তিনি জানিয়েছেন যে চ্যাটজিপিটি ইন্টারনেটের কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করছে এবং কপিরাইট থাকা উপাদান নিয়েই তাদের মডেলগুলিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুচির বালাজী জানিয়েছেন যে, তিনি যা বিশ্বাস করেন, সাংবাদিকও যদি তাই বিশ্বাস করেন তাহলে তাঁকে সেই সংস্থা ছাড়তেই হবে।
আরও পড়ুন: Viral News: গুগলে সবচেয়ে বেশি কী সার্চ করেছেন পাক নাগরিকরা? রিপোর্ট দেখলে চমকাবেন!