নয়া দিল্লি: পৃথিবীর (Earth) প্রতিটি দেশেই ভূত সম্পর্কিত অনেক গল্প রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের (Paksitan) অর্থনৈতিক রাজধানী করাচি (Karachi) শহরে এমন একটি প্রাসাদ রয়েছে, যার আশেপাশে সূর্যাস্তের পর কেউ যেতে সাহস করে না। পাকিস্তানের স্থানীয় ডিজিটাল প্রকাশনা ব্র্যান্ডসিনারিওতে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, রাতে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়।                                                                           


এখানকার রক্ষীরা এমনও বলে যে, রাতে মনে হয় এই প্রাসাদের কক্ষের যেন পার্টি- হইহট্টগোলের আখড়া হয়ে ওঠে। ১৯২৭ সালে রাজস্থানের একজন হিন্দু ব্যবসায়ী নির্মিত এই প্রাসাদটি এখন পাকিস্তান সরকার একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করেছে। কিন্তু এরপরও রাতে কেউ এখানে যেতে সাহস করে না। 


কেন এই প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল?


ইতিহাসে কাহিনী অনুসারে, এই প্রাসাদটি ১৯২৭ সালে রাজস্থানের একজন মারোয়ারি ব্যবসায়ী শিবরতন চন্দ্ররতন মোহাট্টা তার স্ত্রীর প্রেমে তৈরি করেছিলেন। এই প্রেমের গল্পটি এখনও পাকিস্তান ও ভারতে আলোচিত। জানা যায়,  শিবরতন চন্দ্ররতন মোহাট্টার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডাক্তাররা শিবরতনকে তার স্ত্রীকে এমন জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যেখানে তিনি সমুদ্রের খোলা হাওয়া পেতে পারেন। যাতে তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এই কথা শুনে শিবরতন চন্দ্ররতন মোহাট্টা জয়পুর থেকে বিশেষ কারিগরদের ডেকে এই প্রাসাদ প্রস্তুত করেন। কথিত আছে, সেকালে এই প্রাসাদে অনেক পার্টি হতো।


এই প্রাসাদের নিচে নির্মিত সুড়ঙ্গের গল্প কী?


কথিত আছে যে এই জনপ্রিয় মোহাট্টা প্রাসাদের নীচে একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যা প্রাসাদের মধ্য দিয়ে করাচির একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরে যায়। শিবরতন চন্দ্ররতন মোহাট্টা এই সুড়ঙ্গটি তৈরি করেছিলেন যাতে তার অসুস্থ স্ত্রী নিরাপদে প্রতিদিন মন্দিরে যেতে পারে এবং তার পূজা করতে পারে। মানুষ বিশ্বাস করে যে ব্রিটিশ শাসনামলে এই প্রাসাদে এমন অনেক কাজ হয়েছিল যা এটিকে ভূতের আবাসে পরিণত করেছিল।


আরও পড়ুন, প্রতি ২০ মিনিট অন্তর চমকাচ্ছে আলো, কীসের সঙ্কেত? কারা পাঠাচ্ছে?


 


ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না।