নয়াদিল্লি: বিমান তখনও আকাশে। অবতরণে আর কিছুক্ষণ বাকি। হঠাৎ বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলা ধরে টানাটানি শুরু করলেন এক যাত্রী (Passenger Of Indigo Flight Tried To Lift Emergency Door Mid Air Inviting Cases Against Him) । দরজা খুলবেন, এমনই ইচ্ছা। কিন্তু ঠিক সময়ে সতর্ক হয়ে যান বিমানকর্মীরা (crew became alert)। পাইলটকে জানান। একেবারে নিয়ম মেনে সাবধান করা হয় 'ইন্ডিগো'-র উড়ানের ওই যাত্রীকে (indigo passengers became alert), জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
কী ঘটেছিল?
নাগপুর থেকে মুম্বই যাচ্ছিল ইন্ডিগোর ওই বিমান। হঠাৎই উড়ানের এমার্জেন্সি এক্সিট বা আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করতে থাকেন এক যাত্রী। তবে উড়ানের নিরাপদ যাত্রার জন্য যা প্রয়োজন, তার সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, গত ডিসেম্বরেই ইন্ডিগো-র একটি উড়ানে কার্যত এক ধরনের আরও একটি ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল।
এক ঘটনা আগেও...
ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছিল, গত ১০ ডিসেম্বর চেন্নাই-তিরুচিরাপল্লিগামী বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেলেন এক যাত্রী। তবে তখনও বিমান টেক অফ না করায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় এই অসামরিক বিমান নিয়ামক সংস্থা। পরে অসামরিক বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, ওই যাত্রী আর কেউ নন, তেজস্বী সূর্য। ভুল করে দরজা খুলে ফেলেছিলেন তিনি। পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে প্রায় প্রত্যেকটি উড়ান সংস্থাই আরও বেশি করে নজরদারির আওতায় রয়েছে। কখনও মাঝ আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগ, কখনও আবার যাত্রীদের অশালীন আচরণ সামাল দেওয়া ঘিরে বার বার শিরোনামে এসেছে এই সংস্থাগুলি। হালে দুই মদ্যপ যাত্রীর জন্য নজরে এসেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমান। এর মধ্যে নিউ ইয়র্ক-দিল্লিগামী একটি বিমানকে 'ডি-রস্টার' করা হয়। বিমানটিতে এক প্রবীণার দেহের উপর এক যাত্রীর মূত্রত্যাগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায়। এয়ার ইন্ডিয়ার আর একটি প্যারিস-দিল্লিগামী উড়ানে খালি আসনেই মূত্রত্যাগের অভিযোগ ওঠে এক মদ্য়প যাত্রীর বিরুদ্ধে। আর এক যাত্রীর আবার বিমানের শৌচালয়ে ধূমপান করছিলেন বলে শোনা যায়। কেবিনের কর্মীরা বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।
কিন্তু কেন এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে উড়ানে? কেন আটকানো যাচ্ছে না? বার বার একই ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও অসামরিক বিমান মন্ত্রক বা ডিজিসিএ, কেউই কি যথেষ্ট সতর্ক নয়? প্রশ্ন উঠছেই।
আরও পড়ুন:ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বুকে গুলি, আশঙ্কাজনক মন্ত্রী