নয়াদিল্লি: এখন বয়স ৮২। ৬০ বছর বয়সে ভারতীয় রেলের (Indian Railway) চাকরি থেকে অবসর নিলেও তারপর কেটে গিয়েছে ২২টি বছর। আশির কোঠায় এসে জেলের সাজা শুনলেন ভারতীয় রেলের এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক। একটি ঘুষের মামলায় তাঁকে এই সাজা শোনাল লখনউ-এর একটি স্পেশাল সিবিআই আদালত। যে মামলায় এই সাজা, সেটিই অন্তত ৩২ বছরের পুরনো। ঘুষের অঙ্কটা ছিল ১০০ টাকা। 


কী বিচার:
স্পেশাল সিবিআই আদালতের (Special CBI Court) বিচারক অজয় বিক্রম সিংহ। দোষীসাব্যস্ত হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রাম নারায়ণ ভার্মা। তিনি বয়সের কারণে কম শাস্তির প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু তাতে আমল দেননি ওই বিচারক। বয়সের কারণে শাস্তি লঘু করেনননি তিনি। তাঁর মতে তেমনটা করলে সমাজের প্রতি ভুল বার্তা যেত। ১ বছরের জেলের নির্দেশের পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। রাম নারায়ণ ভার্মা বিচারকের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এই ঘটনাটি ৩২ বছর আগের। এই মামলায় তিনি ২ দিন কাটিয়েছে, তারপর জামিন পেয়েছেন। তাঁর প্রার্থনা ছিল তাঁর যেন আর জেলযাত্রা না হয়। কিন্তু সেই আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন বিচারক। বিচারক জানিয়েছিলেন এই অপরাধের জন্য ২ দিনের জেল পর্যাপ্ত নয়। 


কার অভিযোগ:
রাম কুমার তিওয়ারি নর্দান রেলওয়ের (Northen Railway) লোকো ড্রাইভার ছিলেন। তিনি ঘুষের মামলা করেছিলেন ১৯৯১ সালে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর পেনশনের জন্য শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই রাম নারায়ণ ভার্মা তাঁর কাছে ১৫০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। পরে ১০০ টাকায় রাজি হন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাতেনাতে ভার্মাকে ধরে সিবিআই। যাবতীয় তদন্ত করার পরে রাম নারায়ণ ভার্মার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। আদালত চার্জ ফ্রেম করে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর।


বহু সময় শোনা যআয় আদালতের মামলার দীর্ঘসূত্রতার কথা। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে। শুনানির পর শুনানি হতে থাকে, কিন্তু বিচার মেলে না। অনেকসময় কোনও একটি মামলার বিচার হয়ে তারপর সাজাঘোষণা হতে হতে দশক পেরিয়ে যায়। এই ঘুষের মামলার ক্ষেত্রেও তাই দেখা গিয়েছে। তিন দশকেরও বেশি পুরনো ঘটনা। সিবিআইয়ের স্পেশাল কোর্টে বিচার চলছিল। তারপরেও এতদিন লেগে গেল তার রায় বেরোতে। যখন রায় বেরোল তখন দোষী ব্যক্তি বয়সের ভারে প্রায় নুব্জ।    


আরও পড়ুন: বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে ১৪১০টি পদে হবে নিয়োগ, এভাবে আবেদন করতে পারবেন