আমদাবাদ: গুনতে গিয়ে হাতের কম পড়ে যায় আঙুল। ১০-২০ জন নন, প্রথম দশের মেধাতালিকায় নয় নয় করে ১১৪ জন পড়ুয়া। নম্বরও একেবারে গায়ে গায়ে। বঙ্গে এ বছর মাধ্যমিকে নম্বরের বহর দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। নম্বর তোলার এই হিড়িকে সাধারণ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছিলেন। এই আবহে মন জিতলেন গুজরাতের আইএএস অফিসার (IAS Officer)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দশম শ্রেণির মার্কশিট সামনে এসেছে, যাতে প্রাপ্ত নম্বর দেখে বোঝা যায়,  কোনও রকমে পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তিনি (Viral News)। 


আইএএস অফিসারের মার্কশিট ভাইরাল


গুজরাতের বাহরুচের কালেক্টর তুষার ডি সুমেরা (Tushar D Sumera)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দশম শ্রেণির মার্কশিট (10th Marksheet) পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা গিয়েছে, ইংরেজিতে ১০০-র মধ্যে ৩৫ পেয়েছিলেন তিনি। অঙ্কে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩৬। বিজ্ঞানে পেয়েছিলেন ৩৮। ২০০৯ সালের ছত্রিশগড় ক্যাডারের আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ তুষারের ওই মার্কশিট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। 



তুষার জানিয়েছেন, তাঁর মার্কশিট দেখে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকা থেকে পরিবারের লোকজন, সকলেই হতাশ হয়েছিলেন। জীবনে কিছু করতে পারবেন না বলে মুখের উপরই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু সব আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে আইএএস হয়েছে তুষার। বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে জীবনের গতিপথ নির্ধারিত হয় না।


আরও পড়ুন: PMO on Recruitment: আগামী দেড় বছরে ১০ লক্ষ চাকরি, নির্দেশ মোদির


মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটারে ওই পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ঝুড়ি ঝুড়ি নম্বর তুলতে চারিদিকে যখন হুড়োহুড়ি, নামী কলেজে ভর্তি হওয়ার ইঁদুর দৌড়, তার মধ্যে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত পড়ুয়াদের জন্য তুষার অনুপ্রেরণা হতে পারেন বলে মত সকলের। দ্বিধাবোধ সরিয়ে রেখে, তুষার যে নিজের মার্কশিট শেয়ার করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে, তাও প্রশংসা কুড়িয়েছে। 


কলাবিভাগ থেকে পাশ করে আইএএস অফিসার তুষার সুমেরা


২০১২ ব্যাচের আইএএস অফিসার তুষার। কলা বিভাগ থেকে স্নাতক হন তিনি। ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার আগে স্কুল শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন কিছু দিন। ঘটনাচক্রে, এ বারের ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম তিনটি স্থানই মেয়েদের দখলে গিয়েছে। জামিয়া মিলিয়া থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শ্রুতি শর্মা পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন। অঙ্কিতা আগরওয়াল এবং গামিনী সিঙ্গলা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।