নয়া দিল্লি: কিছুই মনে নেই। কোথায় থাকেন? নাম কী? কী আসল পরিচয় কিছুই না। এক, দু বছর নয়, এক যুগ পেরিয়ে ১৫ বছর। মনে নেই কিছু, মনে পড়েও না কিছু। কত চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সে যেন স্থবির। সে হেন মানুষ স্মৃতি ফিরে পেলেন কেবল 'মহাকুম্ভের' নাম শুনে! 


কোডার্মার বাসিন্দা প্রকাশ মাহাতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন প্রায় অনেক বছর ধরেই। ১৫ বছর আগে কাজের জন্য কলকাতায়  আসার সময়ই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, তিনি কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনেও কাজ করতেন। এরপর ৯ মে, ২০১০ তারিখে নিখোঁজ হন। কোনও খবর না পেয়ে পুলিশে খবর দেয় পরিবার। কিন্তু খোঁজ করা হলেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই ব্যক্তির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। 


তবে সম্প্রতি, মারকাচো পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জের একজন হোটেল অপারেটর সুমিত সাওর কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছিল। প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ এরপর মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যারা তার পরিচয় যাচাই করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে রানিগঞ্জে যান। এরপর থানায় ওই পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটে ওই ব্যক্তির। 


সুমিত সাও জানিয়েছেন, তার বাবা ১৫ বছর এই মাহাতোকে তাঁদের হোটেলে চাকরি দিয়েছিলেন। হোটেলে এই ব্যক্তিকে সকলে 'কুস্তিগির' নামে ডাকে। তখন থেকেই তিনি সেখানেই থাকতেন এবং কাজ করতেন। সুমিতবাবুর কথায়, তাঁর বাবা মাহাতোকে আশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের প্রস্তাব দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাহাতো তাঁদের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন।


কিন্তু কীভাবে স্মৃতি ফিরে পেলেন ওই ব্যক্তি? 


সুমিত সাউয়ের কথায়, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় তীর্থযাত্রার বিষয়ে তার পরিবার যখন আলোচনা করছিল, তখন মাহাতো তাঁর স্মৃতি ফিরে পান। কথোপকথনের সময় মাহাতো জোর দিয়ে বলেন যে তার কুম্ভ মেলায় যোগদান করা উচিত, কারণ তার বাড়ি পথের পাশে ছিল। এটি শুনেই সুমিত আরও তদন্ত করতে বাধ্য হন। অবশেষে মাহাতোর বাড়ি খুঁজে পান। তিনি স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যারা মাহাতোকে তার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত করার জন্য মারকাচো থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে