নয়াদিল্লি: 'হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী/ তিনজনেতে জট্‌লা ক'রে ফোক্‌লা হাসির পাল্লা দি।' সুকুমার রায়ের কবিতার মতো এখানে তিনজন নয়, 'হাসছে' একজনই-- সূর্য। তবে খালি চোখে নয়। সূর্যের হাসিমুখ নজরে পড়েছে নাসার উপগ্রহের ক্যামেরায়। সম্প্রতি, সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তার ঠিক পরেই নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সূর্যের হাসিমুখ।


মঙ্গলবার আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তারপরেই এমন ছবি। নাসা টুইটার হ্যান্ডেলে সেই ছবি শেয়ারও করেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সূর্যের গায়ে বেশ কিছু কালো ছোপ। এমনভাবে সেগুলি রয়েছে যে তা দেখে মানুষের হাসিমুখ বলে মনে হতে বাধ্য। 



কিন্তু এটি আসলে কী?
নাসার তরফে যখন টুইট করা হয়েছে তখনই এমন ঘটনার ব্য়াখাও দেওয়া হয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে সূর্যের গায়ে এই কালো ছোপগুলি আসলে করোনাল হোল (Coronal Hole)। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সূর্যের এই এলাকায় বিপুল গতিতে সৌরঝড় প্রবাহিত হয়ে মহাকাশে দিকে ধাবিত হয়। সূর্যের এই এলাকাগুলি ওপেন ম্যাগনেটিক ফিল্ড। অন্য অংশের তুলনায় ঠান্ডা।


আশঙ্কাও রয়েছে?
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবশ্য এর একটি বিপদের দিকের কথাও উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, সূর্যের এই হাসিমুখ পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। সূর্যের এই করোনাল হোলের জন্য সৌরঝড় বয়ে আসতে পারে। যা পৃথিবীর জন্য বিপদের, বলছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত খবর করে এমন একটি ওয়েবসাইটের দাবি, সূর্যের এমন ঘটনার জন্য ২৮-২৯ অক্টোবর নাগাদ পৃথিবীতে সৌরঝড় আঘাত করতে পারে।


সৌরঝড় কী?
সূর্যের পৃষ্ঠতলে বিপুলমাত্রায় চৌম্বকীয় রশ্মি বিকিরণ হয়। এটাই সৌরঝড়। এটাই যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে তা প্রভাব ফেলে উপগ্রহ এবং মহাকাশযানে। সাধারণত প্রাণীদের উপর সেভাবে প্রভাব পড়ে না। কিন্তু সমস্তরকম বৈদ্যুতিন সামগ্রী, উপগ্রহ এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রে। এছাড়া পৃথিবীতে রেডিও কমিউনিকেশন, রেডার, জিপিএস-এর মতো যন্ত্রে এই সমস্যা হয়। 


আরও পড়ুন: আপনার প্যান কার্ড আর কাজে আসবে না ! ৩১ মার্চের মধ্য়ে করতে হবে এই কাজ