Viral Video: কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিও, যেখানে দেখা গিয়েছিল গৃহকর্মে নিপুণ একটি বাঁদরকে। এবার দেখা মিলল এমন এক বাঁদরের যে লাটাই হাতে নিয়ে দিব্যি ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও বারাণসীর, এমনটাই জানা গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো দিব্যি দক্ষতার সঙ্গে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে ওই বাঁদরটি। তাকে সাহায্য করার জন্য আশপাশে কেউ নেই। একা একাই লাটাই হাতে নিয়ে সুতো টেনে টেনে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে বাঁদরটি। ভিডিওটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, বেশ কিছুটা দূর থেকে ওই ভিডিও তোলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বেশ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বাঁদরের কেরামতি।
দেখে নিন ইনস্টাগ্রামের সেই ভাইরাল ভিডিও
ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিও শেয়ার করে লেখা হয়েছে যে এটা বারাণসী, এখানে সবকিছুই সম্ভব। স্বভাবতই বাঁদরের কাণ্ডকারখানা দেখে অবাক নেটিজেনরা। হাসির রোল উঠেছে নেট পাড়ায়। কীভাবে একটি বাঁদর এত নিখুঁত উপায়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে, তা দেখেই অবাক সকলে। নেটিজেনদের অনেকেই বলেছেন, বাঁদররা যে বেশ বুদ্ধিমান, তার পরিচয় এর আগেও বহুবার পাওয়া গিয়েছে। তবে এভাবে বাঁদরকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা বেশ বিস্ময়কর।
কিছুদিন আগে ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছিল আর একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, মন দিয়ে বাসন মাজছে ছোট্ট এক বাঁদর। গৃহকর্মে নিপুণ এই বাঁদর রুটি বেলতেও দারুণ পটু। এমনকি মশলাও বাটতে পারে দক্ষতার সঙ্গে। আবার মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখতেও নাকি খুব ভালবাসে। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি জেলার সাদওয়া গ্রামে খোঁজ মিলেছে এই 'ওয়ার্কিং মাঙ্কি'- র। বিগত ৮ বছর ধরে ওই গ্রামেরই এক চাষি পরিবারের সদস্য এই বাঁদর যার নাম রানি।
ওই চাষি পরিবারেরই একজন হয়ে থাকে বাঁদরটি। খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানো, বাড়ির কাজ সবেতেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো যোগদান রয়েছে রানির। ৮ বছর আগে নিজের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল রানি। সেই সময় তাদের দল উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামের আশপাশেই ছিল। দলছুট হওয়ার ফলে আর ফেরা হয়নি এই ছোট্ট বাঁদরের। তারপর থেকে রানি নামে বিশ্বনাথের পরিবারের একজন সদস্য হয়েই থেকে গিয়েছে সে।