নয়া দিল্লি: সোশাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তের যুগে কম বেশি সকলেই চায় ছবি হোক, গান হোক বা ব্যতিক্রমি কিছু করে প্রচারে আসার। কিংবা সোশাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হতে। সেই করতে গিয়ে বহু মানুষ, বহু সময়ে বিপদে পড়েছেন। মৃত্যুও ঘনিয়ে এসেছে অকালে। তেমনই ছবি তোলার জন্য মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক মহিলার।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়গিরির মুখে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখার ছবি তুলতে গিয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সেটাই যে তার শেষ সূর্যোদয় হতে চলেছে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা প্রায় ৭৫ মিটার উচ্চতা থেকে পড়ে গিয়েছে।
ওই মহিলা এবং তার স্বামী একটি গাইডেড ট্যুরে গিয়েছিলেন। ট্যুর গিল্ড পরে কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন যে মহিলা যখন ছবি তুলতে ওখানে গিয়েছিলেন তখন ট্যুর গাইডের তরফে বারবার তাঁকে সাবধান করা হয়েছিল বলে জানান হয়েছিল। কিন্তু ছবি তোলার নেশায় তিনি আগ্নেয়গিরির একদম ধারে চলে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান।
আরও পড়ুন, চা বানিয়ে খাইয়েছিলেন বিল গেটসকে, আজ বুর্জ খলিফায় বসে কফি খাচ্ছেন ডলি চায়েওয়ালা
পুলিশ সূত্রে খবর, আগ্নেয়গিরির একদম ধার দিয়ে হাঁটছিলেন ওই মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান হয়তো স্কার্টে পা আটকে ভারসাম্য রাখতে পারেননি ওই মহিলা। সেই সময় ঘটে যায় ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তবে মহিলাকে উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটেছিল পুলিশের। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা গেছিল মহিলার দেহ।
প্রসঙ্গত এই আগ্নেয়গিরিটি 'ব্লু ফায়ার ভলকানো' নামে পরিচিত। সালফিউরিক গ্যাসের দহন থেকে নির্গত নীল আলোর কারণে এই নাম। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের মতে, ২০১৮ সালে, আগ্নেয়গিরিতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত শুরু করার পরে অনেক স্থানীয়দের তাদের বাড়িঘর খালি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময় কমপক্ষে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাউন্ট ইজেন থেকে এখনও অল্প পরিমাণ হলেও বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। তবে নিয়ম বজা রেখে সাইটটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে