কলকাতা: এখন টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি ইমোজি ও ভিডিয়োতেও কথা হয়। মেসেজ হিসেবে পাঠানো যায় ছবি থেকে শুরু করে মনের মতো নানা জিনিস। কিন্তু আজ থেকে ৩২ বছর আগে কেমন ছিল দিনটা। ১৯৯২ সাল। ফোন ততদিনে চলে এসেছে। কিন্তু তাতে শুধু ফোনই করা যায়। মেসেজ করার কথা কেউ ভাবতেও পারত না। তবে এই নিয়ে গবেষণা চলছিল। গবেষণা চালাচ্ছিল তখনকার বিখ্যাত সব সংস্থা যেমন ভোডাফোন, নোকিয়া। অবশেষে সাফল্য আসে ৯২ সালের শেষ দিকে। ভোডাফোনে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন নেইল পাপওয়ার্থ। তাঁর উপরেই দায়িত্ব ছিল এই নিয়ে গবেষণার।


১৪ ক্যারেকটারের মেসেজ


এখনকার মতো বিশাল বিশাল মেসেজ কয়েক বছর আগেও ভাবা কঠিন ছিল। কারণ ১০-১৫ বছর আগেও স্মার্টফোন সেভাবে বাজারে আসেনি। থাকলেও ব্যবহারকারী ছিলেন খুব কম। ফোনে মেসেজের ক্ষেত্রে একটি সীমা ঠিক করা থাকে। ওর থেকে বেশি ক্যারেকটার তাতে লেখা যাবে না। প্রথম মেসেজটিও ঠিক তেমন ছিল। লেখা হয়েছিল মাত্র ১৪ ক্যারেকটার। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর সেই মেসেজ লেখা হয়। লেখেন নেইল পাপওয়ার্থ। তাঁর বন্ধুকে দুটি শব্দ লিখে পাঠিয়েছিলেন নেইল। ভোডাফোন তাঁর সেই লেখা পরে নিলামও করেছিলেন! 


কী লিখেছিলেন নেইল ?


বন্ধু রিচার্ড জাভিসকে নেইল লেখেন, ‘মেরি ক্রিসমাস’। ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ হলেও ঠান্ডার ওই মরসুমের সবচেয়ে বড় উৎসব বলতে বড়দিনই। আর সেই দিনটির কথাই মনে এসেছিল ভোডাফোনে টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার তথা ডেভেলপার নেইলের।


নেইলের ভূমিকা


ব্রিটিশ সফটওয়ার প্রোগ্রামার নেইল পাপওয়ার্থ ভোডাফোনে ডেভলপার ও টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল শর্ট মেসেজ সার্ভিস নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা। সেই পরীক্ষানিরীক্ষা করতে করতেই তিনি একটি ‘মেরি ক্রিসমাস’ মেসেজ লিখে পাঠান একটি কোম্পানির ডাইরেক্টর রিচার্ড জাভিসকে। 


মেসেজে ক্যারেকটার লিমিট


সেই সময় মেসেজে ক্যারেকটার লিমিট ছিল। ১৬০ ক্যারেকটারের লিমিট। তার জন্য অনেকেই বড় কথার প্রথম অক্ষরগুলি নিয়ে ছোট করতেন। যেমন লাফ আউট লাউড হয়ে যায় লোল। তেমনই হাসিকান্না বোঝাতেও কমা, ফুলস্টপ, কোলন দিয়ে বিভিন্ন ইমোটিকন লেখার চল শুরু হয়। পরে এই ধারণা থেকেই তৈরি হয় ইমোজি। যা আজ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে।


আরও পড়ুন - World’s Most Expensive Toilet: কোনওটা শূন্যে ভাসে, কোনওটা গুহায়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি টয়লেট কোথায় ?