নয়াদিল্লি: বয়স নব্বই ছুঁইছুঁই। কিন্তু পর্বত শিখর হোক বা সমুদ্রের ঢেউ কোনওটাই দমাতে পারে না তাঁকে। মনের জোর এবং ফিটনেসের একেবারে আদর্শ উদাহরণ সেইচি সানো (Seiichi Sano)।


জাপানের এই ব্যক্তি সেদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্ঘ মাউন্ট ফুজি-তে চড়েছেন। পাহাড় দেখেও ক্ষান্ত থাকেননি। সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভাসাতে মন চেয়েছিল। তাই ৮০ বছর বয়সে সার্ফিং শুরু করার কথা ভাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু করে দেন প্র্যাকটিস। আর এখন তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক সার্ফার। ৮৮ বছর এবং ২৮৮ দিন বয়সে সার্ফিং করে গিনেস বুকে রেকর্ড (Guinness Record ) তুলেছেন তিনি।


জীবন যে রকম:
তাঁর জন্ম জাপানের হোক্কাইডোতে।  ১৯৩৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। তখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে বেশ কয়েক বছর দেরি। গ্র্যাজুয়েট স্কুল শেষ করার পরে টোকিওতে চলে আসনে সানো। একটি ওয়ারলেস টেলিগ্রাফ স্কুলে যোগ দেন তিনি। তারপর চাকরিজীবন অনেকটাই ছন্নছা়ড়া। কখনও এই কাজ, কখনও সেই কাজ। যখন যেমন সুযোগ পেয়েছেন কাজ করেছেন। তখন থেকেই নাকি তাঁর ইচ্ছে ছিল নিজের কোনও একটা পরিচয় তৈরি করবেন, যাতে তাঁকে তাঁর জন্য চিনতে পারে লোকজন। 


তারপর ব্যবসায় ঢুকেছিলেন তিনি। নিজের কাঠের ব্যবসা শুরু করে। তারপর কাজেই কেটেছে বাকি জীবনটা। নিজের প্যাশন হারিয়ে গিয়েছিল। ফের তা চাগাড় দিয়ে ওঠে যখন, তখন তাঁর বয়স আশি। মাউন্ট ফুজিতে চড়েন তিনি। কিন্তু তবুও তৃপ্তি পাননি। তখনই সার্ফিংয়ে চোখ পড়ে তাঁর। একটা বোর্ডে সমুদ্র শাসন করার ইচ্ছের মধ্য়েই নিজের সুপ্ত বাসনা খুঁজে পান। তারপর থেকে ক্রমাগত অনুশীলন করে গিয়েছেন। প্রোফেশনাল সার্ফার নন তিনি, তবুও এটাই এখন তাঁর প্যাশন। 


 



কীভাবে এল এই প্যাশন:
সানো জানাচ্ছেন, একটি স্থানীয় ব্যাঙ্কের এক কর্মচারীর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তাঁর থেকেই সার্ফিংয়ের কথা জানতে পারেন। তাঁর কাছেই প্রথম সার্ফিংয়ের শিক্ষা সানোর। তিনি বলছেন, 'আমি নিজেকে বয়স্ক মনে করি না।' ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সার্ফিং করার স্বপ্ন দেখেন সেইচে সানো।


আরও পড়ুন: 'খেলার ছলে' মায়ের অ্যামাজন অ্যাকাউন্ট থেকে আড়াই লক্ষ টাকার শপিং খুদের