পড়াশোনায় মন বসছে না সন্তানের ? স্টাডি রুমে এই সমস্যা নেই তো ?
বাস্তুশাস্ত্র ইতিবাচক শক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এতে বাড়ির পরিবেশ বিশুদ্ধ ও ইতিবাচক রাখতে অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবাস্তু শাস্ত্রে, রান্নাঘর থেকে শুরু করে শোওয়ার ঘর পর্যন্ত নিয়মের কথা বলা আছে। বাস্তু মতে, স্টাডি রুমে বাস্তুর ত্রুটি থাকলে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসে না।
পড়ার ঘরে বাস্তু ত্রুটি থাকলে শিশুর মন বসবে না এবং এটি তার পড়াশোনায় প্রভাব ফেলবে। বাস্তু মতে, শিশুদের স্টাডি রুমের বিষয়ে কিছু জিনিস মাথায় রাখা খুবই জরুরি।
বাচ্চাদের ঘরে পড়ার টেবিল সবসময় দক্ষিণ দিকে রাখুন। যাতে পড়াশোনা করার সময় শিশুর মুখ উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকে। এতে তারা পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।
এই দিকগুলির মুখোমুখি হলে ইতিবাচক শক্তি সরবরাহ হয়। যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং বুদ্ধির বিকাশলাভ হয়।
স্টাডি রুমের বইয়ের আলমারি পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকা উচিত। এই আলমারি প্রতিদিন পরিষ্কার করা আবশ্যক।
স্টাডি রুমে গণেশের একটি ছবি রাখতে হবে। প্রতিদিন গণপতির পুজো করলে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে। তাতে শিশুরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হতে পারে।
সুখের প্রতীক এমন কোনও ছবি সবসময় শিশুদের ঘরে রাখা উচিত। সন্তানদের ঘরে মহান ব্যক্তিদের ফটো রাখুন। যাতে তারা তাঁদের মতো হওয়ার কথা ভাবেন। ঘরের পূর্ব দিকে মা সরস্বতীর ছবি রাখতে পারেন।
শিশুর যদি কিছু বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে ঘরের উত্তর দিকে ব্রহ্মদেবের ছবি বা পেইন্টিং রাখুন। এটি তাদের সব বিষয় সহজে বুঝতে সাহায্য করবে। এমনই বলে বাস্তুশাস্ত্র।
স্টাডি রুম কখনই টয়লেটের কাছে থাকা উচিত নয়। কারণ, টয়লেট থেকে আসা নেতিবাচক শক্তি পড়াশোনা থেকে মনকে বিক্ষিপ্ত করে। পড়ার ঘরে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং বই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা উচিত নয়। এতে শিশুদের মন একাগ্র হয় এবং ইতিবাচক শক্তি পায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -