Banana Leaf: বর্তমানে দেখাই যায় না, তবে অতীতে ঠিক কোন কারণে কলাপাতাতেই খাবার খাওয়া হত?

Eating on Banana Leaf: বর্তমানে কোনও কোনও জায়গায় বা বাড়িতে কলাপাতায় খাওয়া হলেও, এই অভ্যাস আজ লুপ্ত প্রায়।

কলাপাতায় খাওয়ার না না উপকারিতা রয়েছে

আগেকার দিনে রান্নাঘর থেকে উঠোন পর্যন্ত যখন খাবারের সুবাস ছড়াতো, তখন সবার চোখ সেই বড়, চকচকে আর মখমলের মতো সবুজ পাতাগুলোর দিকে থাকত। তবে কেন অন্য কিছু নয়, কলার পাতাতেই খাওয়া হত?

এমনি এমনি নয়, রীতিমতো ভাবনাচিন্তা করেই পূর্বপুরুষরা ব্যবহার করা শুরু করেন। এর বহু অসাধারণ গুণ রয়েছে।

কলা পাতায় খাওয়ার প্রথম এবং প্রধান কারণ ছিল এর 'সেলফ-ক্লিনিং' ক্ষমতা। কলার পাতায় প্রকৃতি মোমের এমন একটি সূক্ষ্ম স্তর তৈরি করেছে যা সামান্য জলের ছিটা দিয়ে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করা যেতে পারে।

সেই সময়ে যখন আজকের মতো রাসায়নিক তরল সাবান ছিল না, তখন এই পাতাটিকে সহজেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে ব্যবহার করা যেত। গরম গরম খাবার পরিবেশন করা হত এই পাতায়।

উষ্ণতায় কলাপাতার ভিতরে লুকানো পলিফেনলগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। গ্রিন টিতেও এই একই উপাদান পাওয়া যায়।

Continues below advertisement

পলিফেনলগুলি ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যখন আমরা পাতাটি খাই, তখন এই পুষ্টি উপাদানগুলি সরাসরি আমাদের খাবারের অংশ হয়ে যায়।এছাড়াও, গরম খাবারের সংস্পর্শে আসা মাত্রই পাতার উপরের স্তর গলে খাদ্যে এমন একটি সুগন্ধ তৈরি করে, যা কল্পনাতীত। এই সুগন্ধ ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে।

এছাড়াও, গরম খাবারের সংস্পর্শে আসা মাত্রই পাতার উপরের স্তর গলে খাদ্যে এমন একটি সুগন্ধ তৈরি করে, যা কল্পনাতীত। এই সুগন্ধ ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে।

কলার পাতা নিজেই একটি প্রাকৃতিক স্যানিটাইজার। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খাবারের মধ্যে জন্ম নেওয়া জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। আমাদের পূর্বপুরুষরা জানতেন যে স্টিল বা পিতলের পাত্রগুলি ভালভাবে পরিষ্কার না করলে সেগুলিতে ময়লা থাকতে পারে, তবে কলার পাতা প্রতিবারই একদম নতুন এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে।

সবচেয়ে বড়ো কথা হল যে খাবারের পরে এটা পরিষ্কার করার ঝামেলা ছিল না। এটা মাটিতে ফেলতেই সার হয়ে যেত, যা পরিবেশের ক্ষতি করার বদলে তাকে পুষ্টি যোগাত।