Indian Currency : নোট কী দিয়ে তৈরি, কাগজ ? সত্যিই কি তাই
একটাকা থেকে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া দু'হাজারের নোট, কমবেশি আমরা পরিচিত আমরা সবাই। তবে সবাই পরিচিত নই এই নোটকে ঘিরে নানারকম কৌতুহলের উত্তরের সঙ্গে ? যেমন কত প্রকারের নোট এখন চালু রয়েছে বাজারে ? সবথেকে বেশি কত টাকার নোট ছাপা হয়েছে এখনও পর্যন্ত ? নোট তৈরি কীসে ? ইত্যাদি ইত্যাদি । ছবি - গেটি
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In AppRBI-এর তথ্য বলছে, দেশে এই মুহূর্তে দশ, কুড়ি, পঞ্চাশ, একশো, দুশো, পাঁচশোর নোট চালু রয়েছে। দুটাকা ও পাঁচ টাকার নোট চলছে, তবে ছাপার কাজ রয়েছে বন্ধ। অর্থাৎ, নতুন করে ছাপা হচ্ছে না। বদলে দু, পাঁচ টাকার কয়েনের উপর জোর দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে বাজারে যে সব নোট চলছে, তা চলবে। লিগাল টেন্ডার হিসেবেই। চালু এক টাকার নোটও। ছবি - গেটি
কতটাকা অবধি ব্যাঙ্ক নোট ইস্যু করতে পারে আর বি আই ? ১৯৩৪-এর রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া অ্যাক্ট বলছে, দুটাকা, পাঁচ টাকা, দশ টাকা, কুড়ি টাকা, পঞ্চাশ টাকা, একশো টাকা, পাঁচশো টাকা, একহাজার টাকা, পাঁচ হাজার টাকা, এবং দশ হাজার টাকা মূল্যের নোট হতে পারে, তবে তা কখনও দশ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে হবে না। ছবি - গেটি
এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক কত টাকার নোট ছাপা হয়েছে জানেন ? ১৯৩৮ সালে দশ হাজার টাকার নোট ছাপিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পরে অবশ্য তা নোটবন্দির চক্করে পরে। ১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাসে অচল ঘোষণা করা হয় এই নোটকে। ছবি - গেটি
ফের ১৯৫৪ সালে নিয়ে আসা হয় দশহাজারি নোট। তবে তার স্থায়িত্বও ছিল ক্ষণস্থায়ী। ২৪ বছর পর ১৯৭৮ সালে অচল ঘোষণা করা হয় সেই দশ হাজারের নোটকে। ছবি - গেটি
নোটকে ঘিরে কৌতুহল আরও রয়েছে। এই যেমন একটা নোটে আমরা কতগুলি ভাষা দেখতে পাই। আরবিআইয়ের তথ্য বলছে, নোটের ভাষা প্যানেলে মোট পনেরোটি ভাষার উল্লেখ থাকে। এবং নোটের মধ্যবর্তী জায়গায় থাকে হিন্দি ও উলটোপিঠে ইংরেজি। ছবি - গেটি
জানেন কি, একই সিরিয়াল নম্বরে একাধিক ব্যাঙ্ক নোট থাকতে পারে কি না ? উত্তর হোল, হ্যাঁ পারে। সেক্ষেত্রে নোট থেকে নোট আলাদা করার উপায় কি ? নোটগুলিতে একই সিরিয়াল থাকলেও ইনসেট লেটার বা নোট ছাপার সাল বা আরবিআইয়ের গভর্নরের সই ইত্যাদি আলাদা থাকবে। ইনসেট লেটার ছাড়াও নোট হতে পারে। ছবি - গেটি
ছেঁড়াফাটা বা দোমড়ানো মোচড়ানো বা ময়লা হয়ে যাওয়া নোট নিয়ে চিন্তা থাকে অনেকের ? এরকম নোট পেলে বা হাতে এলে পালটাবেন কীভাবে ? সমাধান রয়েছে। নোট পালটানো যায়। প্রত্যেকটি ব্যাঙ্ককে এই ধরনের ছেঁড়াফাটা নোট বদলানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। গ্রাহকের কাছ থেকে নোট পেলে বদলে দেবে ব্যাঙ্ক। অ-গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এটি। ছবি - গেটি
এবার বলুন তো ? যে নোট নিয়ে আমরা দৈনন্দিন লেনদেন করি, তা কী দিয়ে তৈরি ? অনেকেই হয়তো ভাবছেন, কীসে আবার, ছিঁড়ে যায়, তাই সাদামাটা কাগজ ছাড়া আর কীই বা হবে ! তা কিন্তু নয়, ভারতে যে ব্যাঙ্ক নোট ছাপা হয়, তার সামগ্রী একশো শতাংশ তুলো (কটন) থেকে আসে। ছবি - গেটি
বিশেষ ওয়াটারমার্কড সম্বলিত যে 'কাগজে' নোটের নানা বিশেষত্ব ছাপা থাকে, তা তুলোর স্তর এবং কটন র্যাগ দিয়ে তৈরি হয়। নোটের মধ্যে যে খসখসে এবং খড়মড়ে ভাবটা আমরা দেখতে পাই, তা এই বিশেষ সামগ্রীর ফলেই আসে। শুধু কাগজে এটা আসত না। ছবি - গেটি
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -