Online Birth Certificate: বাড়ি বসেই মেলে জন্ম শংসাপত্র! কীভাবে আবেদন করবেন?
নতুন বাবা-মায়ের যেমন বহু নতুন জিনিস বুঝে নিতে হয়। তেমনই নবজাতকের জন্য একাধিক প্রামাণ্য নথি তৈরির কাজও শুরু করে দিতে হয়। তার মধ্যেই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে নথি সবার আগে প্রয়োজন সেটি হল জন্ম শংসাপত্র বা Birth Certificate. নবজাতকের নাগরিকত্বের প্রমাণ, পরে অন্য সরকারি পরিচয় পত্র তৈরি করা থেকে শুরু করে স্কুলে ভর্তি হওয়া- সবক্ষেত্রেই এই শংসাপত্র প্রয়োজন হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআগে সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে লাইন দিয়ে আবেদন করতে হতো। পরে সময় মতো সেইখানেই গিয়ে শংসাপত্র নিতে হতো। যা ভীষণ সময়সাপেক্ষ এবং জটিলতাও অনেক বেশি। এই সমস্যা কমানোর জন্য়ই অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণ(Birth Registration) এবং তার সঙ্গেই শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই আবেদন করা সম্ভব।
https://janma-mrityutathya.wb.gov.in/ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন এবং শংসাপত্র জোগাড়ের কাজ করা যায়।
প্রথমেই এই ওয়েবসাইটে যান। সেখানে ডানদিকে উপরে একটি অপশন পাবেন Citizen Service. এখানে মাউস নিয়ে গেলেই ড্রপ ডাউন বক্সে তিনটে অপশন বেরোবে। Birth, Death, Form. Form-অপশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফর্ম ১, ফর্ম ১ এ, ফর্ম ২, ফর্ম ৩ পাওয়া যাবে।
Birth অপশনের মধ্যে ড্রপ ডাউন বক্সে নানা অপশন রয়েছে। নতুন জন্ম শংসাপত্রের আবেদন, আবেদন করার পরে তা ট্র্যাক করার অপশন, জন্ম শংসাপত্রে কোনও ভুল থাকলে তা ঠিক করার অপশন- এরকম একাধিক রয়েছে। আপাতত, আমরা জেনে নেব নতুন রেজিস্ট্রেশনের আবেদন কীভাবে করতে হবে।
Birth> New Registration- এখানে ক্লিক করলেই একটি উইন্ডো খুলবে, সেখানে একটি ফোন নম্বর দিতে হবে, ওই নম্বরেই যাবতীয় আপডেট এবং ওটিপি পাঠানো হবে। নম্বর দেওয়ার পরে মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে সেটা দিলেই একটি পেজ খুলে যাবে। এই পেজটিই ফর্ম।
এই ফর্মে নবজাতকের জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, নাম ও পদবী দিতে হবে। এরপর জন্ম স্থান, রাজ্য ও জেলা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। জন্মস্থান হাসপাতাল হলে, জেলা, ব্লক বা পুরসভা, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের অপশন ঠিকমতো বেছে নিলেই একটা লিস্টে হাসপাতালের নাম চলে আসবে, সেখান থেকে ঠিক হাসপাতালটি বেছে নেওয়া যাবে।
এই ফর্মে বাবা ও মায়ের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। এবং পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি দিতে হবে (সাইজ ২৫০ কিলোবাইটের নীচে)। মায়ের ঠিকানার সব তথ্য দিতে হবে। নবজাতকের জন্ম শংসাপত্রে যে ঠিকানা থাকবে, সেই ঠিকানাই মায়ের যে পরিচয় পত্রে রয়েছে সেটিরই স্ক্যান কপি দেওয়া সম্ভব হলে হয়তো ভাল হয়।
এর পর বাবা-মায়ের শিক্ষাগত যোগ্য়তা, ধর্ম, পেশা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। এছাড়া, বাকি যা যা তথ্য় রয়েছে সেগুলোও ঠিক মতো দিতে হবে। এরপর ফর্ম ১ ডাউনলোড করে সেটা প্রিন্ট করে, হাতে লিখে তথ্য দিতে হবে। তারপর সেটা স্ক্যান করে আপলোড করে দিতে হবে।
এছাড়া হাসপাতাল থেকে দেওয়া নবজাতকের ডিসচার্ড সার্টিফিকেটও আপলোড করে সাবমিট করতে হবে। এরপর একটি অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর মিলবে, সেটা দিয়ে আবেদন ট্র্যাক করা যাবে। শংসাপত্র তৈরি হয়ে গেলে মোবাইলে মেসেজ আসবে। তখন ফোন নম্বর ও অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর দিলেই ডাউনলোড করা যাবে জন্ম শংসাপত্র।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -