Property Rule: এই ৫ ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ পাবেন না মেয়েরা, জেনে রাখা জরুরি

Property Rights of Daughter: যদি কোনো বাবা উইলে লিখে যান যে তাঁর স্ব-উপার্জিত সমস্ত সম্পদ তাঁর ছেলে পাবে, তাহলে মেয়েরা এই নির্দেশ আইনত চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।

মেয়েদের কখন পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতে হয় ?

এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা যখন তাদের পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ চায়, সবথেকে বেশি বিপত্তি-আইনি বিবাদও ঘটে এই সময়।

আইনে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কোনও মেয়েকে কখন তাঁর বাবা কিংবা দাদা তাদের পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

২০০৫ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে মেয়েদের জন্য সম্পত্তিতে সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়। অবিবাহিত মেয়েরা এখনও ছেলেদের মতই তাঁর বাবার সম্পত্তির সমান অংশীদার।

যদি মেয়ের বাবা একটি উল্লেখযোগ্য উইল করে যান তাহলে আইন ব্যতীত অন্যরকম অবস্থা হতে পারে।

যদি কোনো বাবা উইলে লিখে যান যে তাঁর স্ব-উপার্জিত সমস্ত সম্পদ তাঁর ছেলে পাবে, তাহলে মেয়েরা এই নির্দেশ আইনত চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।

তবে এই উইল সম্পূর্ণরূপে বৈধ হতে হবে এবং এই নিয়ম বংশগত বা পারিবারিক সম্পদের ক্ষেত্রে কাজ করবে না।

স্ব-উপার্জিত সম্পত্তি বলতে কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর নিজের আয়ের মাধ্যমে কোনও সম্পত্তি কিনে থাকেন সেটিকে বোঝায়, এটি বহিরাগত সহ যে কোনও ব্যক্তিকে অর্পণের স্বাধীনতা রয়েছে তাঁর বাবার।

তবে পৈতৃক বা বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কারও একার পূর্ণ মালিকানা থাকে না। এই সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের সমানাধিকার থাকবে।

মেয়ের মায়েরা তাদের জীবদ্দশায় মেয়েকে সোনা-গয়না, বাড়ি বা অন্যান্য সম্পদ করে দেন এখন অনেকসময়, এক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের সম্পদ হলেই আয়কর আইনের অধীনে চেক বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করতে হবে, নাহলে ভারী জরিমানা হবে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুসারে স্বামীর মৃত্যু হলে তাঁর মা জীবিত থাকলে তাঁর সঙ্গে ভাগাভাগি করে স্বামীর সম্পত্তির অধিকার পাবেন স্ত্রী।

তবে সেই ব্যক্তির বোন থাকলে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির উত্তরাধিকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। প্রথম শ্রেণির উত্তরাধিকারী জীবিত না থাকলেই কেবল তারা সম্পত্তির ভাগ পাবেন। তাই বহু আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের তাদের জীবদ্দশাতেই একটি স্পষ্ট উইল করে যেতে বলেন এবং গিফট ডিড করে যাওয়ার পরামর্শও দেন।