Union Budget 2022: কাল সংসদে বাজেট পেশ- করদাতাদের ১০ টি প্রত্যাশা
আগামীকাল সংসদে সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেট থেকে সমাজের সর্বস্তরের প্রত্যাশা বিপুল। বিশেষ করে করদাতাদের বিশেষ কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ, করোনা অতিমারীর দাপটে মুদ্রাস্ফীতির হারে সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত। ক্রয় ক্ষমতায় টান পড়েছে। এতে দেশে চাহিদা ও যোগানে টান পড়েছে। এখন দেখে নেওয়া যাক, আয়কর দাতাদের ১০ প্রত্যাশা সম্পর্কে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআয়কর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি- সরকার আয়কর ছাড়ের সীমা আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। কিন্তু করদাতাদের ওপর মুদ্রাস্ফীতির বোঝা চেপেছে। সবকিছুরই দাম বেড়েছে। সেই করদাতারা এই সীমা বাড়বে বলেই আশা করছেন।
সমস্ত করদাতাই যেন কর রিবেটের ছাড় পান- বর্তমানে আয়কর ছাড়ের সীমা আড়াই লক্ষ টাকা। এরপর আড়াই লক্ষ টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ কর দিতে হয়। কিন্তু ৮৭ এ নিয়মে এক্ষেত্রে সরকার রিবেট দেয়। ফলে আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ পর্যন্ত টাকা আয়ের ক্ষেত্রে পাঁত শতাংশ হারে ১২,৫০০ টাকা রিবেট দেয়।পাঁচ আয় পাঁচ লক্ষ টাকার কম হলে কর দিতে হয় না। কিন্তু যাদের আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি, তারা রিবেটের লাভ পায় না। অর্থাৎ আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ, ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ ও ১০ লক্ষট টাকার বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
করছাড়ের জন্য লগ্নির সীমা বৃদ্ধি- ২০১৪-র পর আয়কর সেকশন ৮০ সি-র আওতায় লগ্নিতে প্রাপ্ত কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। এই সীমা আপাতত দেড় লক্ষ টাকা। এই সীমা বৃদ্ধি সরকার করবে, এমনই প্রত্যাশা করদাতাদের।
গৃহঋণে সুদের ওপরকর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি- আয়কর আইনের সেকশন ২৪ ধারা অনুসারে গৃহঋণে সুদের ওপর ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়া উচিত বলে মনে করেন করদাতারা।
গৃহঋণে প্রিন্সিপালের ক্ষেত্রে পৃথক করের সুবিধা- আপাতত গৃহঋণের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের যে সুবিধা মেলে তা সেকশন ৮০ সি-র আওতায় দেড় লক্ষ পর্যন্ত লগ্নিতে, যে কর ছাড় মেলে, সেই অনুযায়ী সুবিধা পাওয়া যায়। করদাতারা চান, প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টে পৃথকভাবে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক ডিডাকশনের সংস্থান রাখা হোক। সেকশন ৮০-কে পৃথকভাবে প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টে এই ছাড় দেওয়া হোক।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকসনের সীমা বৃদ্ধি- করদাতাদের দাবি, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকসনের সীমা বাড়ানো হোক। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকসনের সীমা বর্তমানের ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হোক।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম আলাউন্সের ঘোষণা- ২০২০ থেকে বেতনভোগী কর্মীদের বাড়িতে বসেই অফিস করতে হচ্ছে। এজন্য বিদ্যুতের খরচ, ইন্টারনেট খরচ, আসবাবে খরচ বেড়েছে। এ জন্য করদাতারা পৃথক ছাড়ের দাবি করেছেন।
নয়া কর ব্যবস্থায় পরিবর্তনের দাবি- আয়করের ক্ষেত্রে নয়া কর ব্যবস্থা করদাতাদের অনুকূল হচ্ছে না। কারণ, এতে ডিডাকসনের সুবিধা মিলছে না। এক্ষেত্রে পরিস্থিত অনুযায়ী কর ছাড় প্রাপ্তির ব্যবস্থা হোক, এমনই দাবি করদাতাদের।
অটল পেনশন যোজনার পেনশন সীমা বৃদ্ধি- অটল পেনশন যোজনায় অধিকতম পেনশন ৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার দাবি উঠেছে।
করদাতাদের পেনশনের সুবিধা- করদাতাদের চাহিদা ও ওয়াকিবহাল মহল চান, করদাতাদের সরকারকে কর প্রদানের জন্য কিছু সুবিধা দেওয়া হোক। সবচেয়ে ভালো হয়, সততার সঙ্গে ও ধারাবাহিকভাবে যাঁরা কর দেন, তাঁদের ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর সরকারের পেনশনের ব্যবস্থা করা উচিত। এতে অনেকেই কর প্রদানে উৎসাহী হবেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -