Diesel Car Ban: ডিজেল গাড়ি থাকলে এখনই বিক্রি করতে হবে ? সরকার দিল এই প্রস্তাব
দূষণ প্রতিরোধে ভারতে ডিজেলচালিত চার চাকার যানবাহন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিল সরকারি কমিটি। ২০২৭ সালের মধ্যে এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহর ছাড়াও দেশের দূষিত শহরগুলিতে ডিজেলের পরিবর্তে ইলেকট্রিক ও গ্যাসচালিত যানবাহন ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি।
মূলত, দূষণ কমাতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের গঠিত প্যানেল এই শহরগুলিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের গাড়ি চালানোর কথা বলেছে।
বিশ্বে ভারত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে ওপরের সারিতে রয়েছে। ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমনের লক্ষ্য নিয়েছে দেশ। যা অর্জন করতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পুনর্নবীকরণ শক্তি থেকে উৎপন্ন করতে হবে। তেল মন্ত্রকের ওয়েবসাইট পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে যাত্রী চলাচলের সব বাসই ইলেকট্রিকে চালানো উচিত। ২০২৪ সালের পর থেকেই শহরের পরিবহণে আর কোনও ডিজেল বাস চালানো উচিত নয়।
প্রাক্তন তেল সচিব তরুণ কাপুরের নেতৃত্বে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক প্রস্তাব দিয়েছে। যেখানে 'এনার্জি ট্রান্সফরমেশন' উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্যানেলের প্রস্তাব নিয়ে তেলন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাইবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্যানেলের প্রস্তাবে বলা হয়েছে ৩১ মার্চের পর থেকে যেন দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই ক্ষেত্রে সরকারকে দ্রুত বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহন স্কিম (FAME) এর অধীনে কোম্পানিগুলিকে ইনসেনটিভ দেওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত।
এতে দ্রুত তথাকথিত জ্বালানি থেকে ইলেকট্রিক বা হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহার দেশে বেড়ে যাবে।
দেশের জ্বালানির পরিসংখ্যান বলছে, ডিজেল ভারতে পরিশোধিত জ্বালানী খরচের প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ। এই পরিমাণ ডিজেল দেশের ৮০ শতাংশ পরিবহণ খাতে ব্যবহৃত হয়। যার বেশিরভাগই বড় যানবাহন চালানোর কাজে লাগে।
প্যানেলগুলি বলেছে, ২০২৪ সাল থেকে কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক চালিত শহরের ডেলিভারি গাড়িগুলিকেই নতুন রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া উচিত।
সেই ক্ষত্রে পণ্য পরিবহণের জন্য রেলওয়ে ও গ্যাস-চালিত ট্রাকগুলি ব্যবহার করা উচিত। রেলওয়ে নেটওয়ার্ক দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -