Lithium Discovery: ভূস্বর্গে সঞ্চিত রাশি রাশি ‘গুপ্তধন’, পাল্টে যাবে ভবিতব্য, কমবে চিন-নির্ভরশীলতা!
অতিমারির ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থনীতি। তার মধ্যে দোদুল্যমান শেয়ার বাজারও। সেই পরিস্থিতি ভূস্বর্গে গুপ্তধনের সন্ধান মিলেছে। তাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভবিষ্যতের অঙ্ক কষা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআবিষ্কৃত গুপ্তধন ভারতের অর্থীনীতির রূপরেখা পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কিন্তু যে পরিমাণ গুপ্তধন উদ্ধার হয়েছে, তাতে আদৌ কি তা সম্ভব, উঠছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞ মহলে এ নিয়ে নানা মত রয়েছে।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জম্মু ও কাশ্মীরে লিথিয়াম রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁদের অনুমান, রিয়াসি জেলার হাইমানায় মাটির নিচে সঞ্চিত রয়েছে ৫৯ লক্ষ টন লিথিয়াম। ২০২১-’২২ সাল থেকেই সেই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল।
রাষ্ট্রপুঞ্জের জ্বালানি এবং খনিজপণ্য বন্ধনীর নিরিখে এই আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধির সম্ভাবনা চতুর্থ পর্যায়ে পড়ে। অর্থাৎ প্রত্যাশার নিরিখে আশাজনক জায়গায়। এর মধ্যে লিথিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে বক্সাইটও, যা থেকে উৎপত্তি অ্য়ালুমিনিয়ামের, রয়েছে আরও কিছু বিরল খনিজ।
কিন্তু আবিষ্কৃত লিথিয়ামকে Inferred বলে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থাৎ সম্পদের তুল্যমূল্য বিচারে আহামরি কিছু নয়। কারণ বলিভিয়ায় লিথিয়াম থাকার প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যেই। সেখানে সঞ্চিত লিথিয়ামের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টন। আর্জেন্টিনায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টন সঞ্চিত রয়েছে।
এর পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ায় ৬৩ লক্ষ টন এবং চিনে ৪৫ লক্ষ টন লিথিয়াম সঞ্চিত রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। ভারতের আবিষ্কার এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে, সঞ্চয়ের পরিমাণও মোটামুটি অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে চিন সঞ্চিত লিথিয়ামের পরিমাণ তত বেশি না হলেও, গোটা বিশ্বে যত পরিমাণ সঞ্চিত লিথিয়াম রয়েছে, তার ৭.৯ শতাংশ রয়েছে চিনে। ২০২০-র পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই বলছে। তবে লিথিয়াম উৎপাদন এবং তা থেকে পণ্য বাকি দেশকে কার্যত টেক্কা দিচ্ছে চিন। বিশ্বের ৬০ শতাংশ লিথিয়ামের উৎপাদন এবং শোধন হয় সেখানেই।
এই মুহূর্তে বিদেশ থেকেই আমদানি করেই লিথিয়ামের চাহিদা মেটায় ভারত। তাতেই দেশের অন্দরে লিথিয়াম খোঁজের এই উদ্যোগ। রাজস্থান ও গুজরাতে নোনা জলের হ্রদ, ওড়িশা এবং ছত্তীসগঢ়ের অভ্রবলয়েও লিথিয়ামের খোঁজ চলছে।
জ্বালানি বাঁচাতে এবং পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে এই মুহূর্তে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকছে গোটা বিশ্ব। ভারতো তার ব্যাতিক্রম নয়। ২০২৩ সালে ব্যাটারি প্রযুক্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই লিথিয়াম-আয়নে উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ চোখে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ এবং ২০২০ অর্থবর্ষের মধ্যে বিদেশ থেকে ভারতে ১৬৫ কোটি লিথিয়াম ব্যাটারি আমদানি করা হয়েছে। তাতে খরচ পড়েছে প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার।
তবে লিথিয়ামের খোঁজ পেলেই হল না, ভূগর্ভ থেকে তা তোলার ব্যবস্থাও করতে হবে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে লিথিয়াম মাটির নিচে থেকে তোলা যায়। তবে কত পরিমাণ লিথিয়াম সঞ্চিত রয়েছে, তা-ও দেখা জরুরি।
সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে নোনা জলের হ্রদ থেকে তোলা যেতে পারে লিথিয়াম। আবার আকরিক কেটেও তোলা যেতে পারে। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তো বটেই, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের চার্জারও তৈরিতেও লিথিয়াম ব্যবহৃত হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -