Manmohan Singh News: বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ! এই ব্যক্তি দিয়েছিলেন তকমা
দক্ষিণ এশিয়ার কুয়ালালামপুরে আশিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেই সময় আশিয়ানের সেক্রেটারি জেনারেলের পদে ছিলে অং কেং অং।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App২০০৫ সালের কথা। সিংহকে ভরা সভায় বিশ্বের সবথেকে উচ্চশিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী বলে পরিচয় করিয়ে দেন অং। 'The Accidental Prime Minister: The Making and Unmaking of Manmohan Singh'- বইতে এই কথা উল্লেখ করেছেন লেখক সঞ্জয় বারু।
ক্ষমতায় এসে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেননি কেউ। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা যায় তাঁর বিষেয় ইতিবাচক মন্তব্য। মনমোহন সিংহ চলে গেলেন। কিন্তু এমন বাগ্মী-মিতবাক-রুচিশীল-মার্জিত রাজনীতিবিদের অভাব চিরকাল বোধ করবে ভারতীয় গণতন্ত্র।
তাঁর আমলেই ভারতে বিদেশি পণ্য় আমদানি অনেক সহজ হয়ে যায়। আমদানি শুল্ক কমানোর জন্যই এই সুবিধা পায় দেশবাসী। যার ফলে ঘরে ঘরে কম দামে বিদেশি পণ্য় ঢুকে যায়। সেই সময় এক ঝটকায় আমদানি শুল্ক ৩০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করে দেন সিং।
এমনকী বিদেশি সস্তের পণ্য় দেশে ঢোকায় কম দামে নতুন পণ্য় তৈরি করতে শুরু করে দেশীয় কোম্পানিগুলি। বিদেশি কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি হয় ভারতে।
তাঁর সরকার এমন সব আর্থিক নীতি তৈরি করে, যাতে ভারতের বাজারের প্রতি আকৃষ্ট হয় বিদেশি কোম্পানগুলি। বিভিন্ন খাতে বিধি নিষেধ তুলে দেন সদ্যপ্রয়াত প্রধানমন্ত্রী।
২০১৩ সালে দেশে সবথেক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়ন হয়। যেখানে National Food Security Act (NFSA) তৈরি করেন মনমোহন সিংহ। এই আইনের আওতায় দেশের দুই তৃতীয়াংশ লোক ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য় পাওয়া শুরু করে।
আয়করে বেশ ছাড় দেওয়া শুরু হয়। ফলে দেশবাসী বেশি করে আয়কর জম দেওয়ায় উৎসাহ পায়। ব্যক্তিগত আয়কর ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশে নিয়ে আসেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মৌনমোহন তকমা দেওয়ায় হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় এই নিয়ে বেশি কিছু না বললেও পরে বইতে সব জবাব দিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ। 'চেঞ্জিং ইন্ডিয়া' বইতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমি জবাব দিতে ভয় পাই না। আমার সাংবাদিক সম্মেলনের পরিসংখ্যান সব কথা বলে দিচ্ছে। নিয়মিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি আমি।'
তিনি বলেছিলেন, ''লোকে বলে আমি নীরব প্রধানমন্ত্রী। আমি মনে করি , এই বই তাদের উত্তর দিতে পারবে। আমি কখনও সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাইনি। আমি নিয়মিত সংবাদমাধ্য়মের সঙ্গে দেখা করতাম। বিদেশ যাত্রাতেও সাংবাদিকদের বিমানের মধ্যেই সাক্ষাৎকার দিয়েছি।
সিংহের শাসনকালে ১১৭ বার প্রেস কনফারেন্স করেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে বিদেশ যাত্রায় ১০ বার। বার্ষিক প্রেস মিটে ১০ বার ও রাজ্য় যাত্রায় ২৩ বার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এমনকী নির্বাচন, রাজনীতি ও ইলেকশন ম্যানিফ্যাস্টোর বিষয়ে সাংবাদিকদের ১২ বার বৈঠকে করে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -