PAN Card Fraud: প্যান কার্ডে হচ্ছে বড় জালিয়াতি, বাঁচতে করুন এই কাজ
ডিজিটাল যুগে প্যান কার্ডে জালিয়াতির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, এখন প্রবীণ নাগরিক, মৃতদের প্যান কার্ড ছাড়াও ছাত্রদের প্যান কার্ডকে টার্গেট করেছে স্ক্যামাররা। যা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে চিন্তা বাড়ছে আম আদমির।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসম্প্রতি এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে প্যান কার্ড অপব্যবহারের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে মৃত, প্রবীণ নাগরিক, কৃষক ও ছাত্রদের প্যান কার্ডে প্রতারণার কথা বলা হয়েছে।
PAN-এর অপব্যবহারের অভিযোগের কারণে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক প্রবীণ নাগরিক আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের (ITAT) কাছে গিয়েছিলেন। আদালতে তাঁর কৌঁসুলি দাবি করেছেন, সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনে তার PAN অপব্যবহার করা হয়েছিল।রিপোর্ট বলছে, 2010-11 সালে 1.3 কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রির জন্য নিরক্ষর মহিলার প্যান কার্ডের অপব্যবহার করা হয়। পরে আয়কর বিভাগ সেই পরিমাণকে তার আয় হিসাবে বিবেচনা করে। যার ফল ভুগতে হয় তাকে।
সেই ক্ষেত্রে প্যান কার্ডের অপব্যবহার কমাতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) দিয়েছে কিছু পরামর্শ। কার্ড হোল্ডারদের তাদের প্যান তথ্য/প্যান কার্ড শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক না হলেও এই কার্ড এখন সব জায়গায় সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে PAN ডেটাবেস 70 কোটিরও বেশি।
PAN কার্ডের অপব্যবহার রুখতে আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা হয়েছে। যদি PAN এর অপব্যবহারের সন্দেহজনক কিছু মনে হয়, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।অতীতে এই ধরনের বেশকিছ রিপোর্টও করা হয়েছে। যেখানে জালিয়াতরা ফিনটেক অ্যাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ঋণ পেতে প্যান কার্ডের অপব্যবহার করেছে।
প্যান কার্ডের অপব্যবহার রুখতে কী করবেন ? সব প্যান কার্ড ধারকদের জন্য তাদের বার্ষিক তথ্য বিবরণী (AIS) পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা ব্যাঙ্ক এবং সম্পত্তি রেজিস্ট্রারের মতো রিপোর্টিং সংস্থাগুলির থেকে অনেক তথ্য সরবরাহ করে৷
AIS ডেটার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কের সুদ, ডিভিডেন্ড, স্থাবর - অস্থাবর সম্পদের কেনাবেচা সংক্রান্ত লেনদেন। একজন প্যান কার্ড হোল্ডার তার PAN অপব্যবহার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে ক্রেডিট স্কোর তৈরি করতে পারেন।
এছাড়াও সিবিল, ইকুইফ্যাক্স, এক্সপেরিয়ান বা CRIF হাই মার্কের মাধ্যমে প্যান অপব্যবহার করে আপনার নামে কোনও ঋণ নেওয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারেন। আর্থিক রিপোর্টগুলি ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম যেমন Paytm বা ব্যাঙ্ক বাজারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা উচিত।
মনে রাখবেন, যতদিন যাচ্ছে তত এই ধরনের স্ক্যামের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই আপনি ছাড়াও আপনার পরিবার, প্রতিবেশী ও পরিচিতদের মধ্যে এই প্রতারণা থকে বাঁচার উপপায় ছড়িয়ে দিন। ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -