Personal Financial Management: টাকা জমাতে চান ? বাড়াতে চান ?
স্বপ্নপূরণ হোক বা স্বপ্নপূরণের দিকে এগোনো, আর্থিক স্থিতিশীলতা যে কোনও মানুষের জীবনে খুব দরকারি। আর আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী সেভিংস। বাড়িভাড়া বা নতুন বাড়ি। জমি বা গাড়ি। জীবনের প্রতি মুহূর্তের নানা স্বপ্নপূরণে আর্থিক সক্ষমতা বজায় রাখা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ তো বটেই। এর জন্য হয়ে উঠতে হবে আর্থিকভাবে সাক্ষরও (financially literate)।
আর্থিকভাবে সাক্ষর (financially literate)হয়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৯ দফার গাইডলাইন নিয়ে এসেছে CRED।
বাজেট তৈরি করুন - শুনতে একঘেয়ে লাগলেও এটিই সবথেকে জটিল কাজ এবং প্রতিদিন এটা করা দরকার। খরচকে নিয়ন্ত্রণ করতে, আগাম খরচের আভাস পেতে এবং জীবনযাত্রাকে আরও ভালো করার জন্য আগেভাগে আপনার খরচের উপযুক্ত বাজেট করে নেওয়া প্রয়োজন। আগাম বাজেট করা থাকলে সঠিক সময়ে দেনা শোধ করতেও সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে খরচের জন্য টাকা জমা করেও রাখা যাবে। আগেভাগে বাজেট করে রাখা আসলে জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা।
খরচের হিসেব রাখুন- প্রতিদিন আমরা যে খরচ করি, বেশিরভাগ সময়েই সে হিসেব রাখা সম্ভব হয় না। আর্থিকভাবে সদা-সক্ষম হয়ে উঠতে এটাই এড়িয়ে চলার পরামর্শ। নগদে বা ক্রেডিট কার্ডে, খরচ যখন আর যেভাবেই করুন না কেন, হিসেব রাখতেই হবে। এতে জীবনে এগিয়ে চলার পথে আর্থিক পথটা আরও সুগম হবে
সামাজিক চাপ ও মানি ম্যানেজমেন্ট - অনেক সময় নানা কারণে আমাদের কষ্টার্জিত টাকা বাজে কোনও কারণেও খরচ হয়ে যায়। বন্ধুত্ব বজায় রাখতে, সামাজিক নানা সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে বাজেট বহির্ভূত খরচ করে ফেলতে হয় কখনও-কখনও। এটাকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে যদি, প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন পাই পয়সা হিসেব রাখা যায়। আর এই পদ্ধতিতে যদি উদ্বৃত্ত হয়ে যায় কিছু, তাহলে একদিন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হইহই করা যেতে পারে অথবা নিজের পছন্দের কিছু কিনে নেওয়া যেতে পারে।
যতটা পারেন, জমান- কোভিড প্যানডেমিক আমাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে যে, কোনও প্রকার অঘটন বা অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়। আর অসময়ের জন্য টাকা জমিয়ে রাখলে কী উপকার তা আর নতুন করে কি বলতে হবে ! তাই খরচ বাঁচিয়ে যতটা সেভিংস করে রাখবেন, তত ভবিষ্যতে লাভ আপনারই। এই পরিকল্পনা করে রাখলে ভবিষ্যতে নিজেকেই ধন্যবাদ জানাতে পারবেন।
নিজের ক্রেডিট স্কোর বুঝুন - ক্রেডিট স্কোর বুঝিয়ে দেয় ঋণ বা অন্য আর্থিক সুযোগসুবিধা পেতে আপনি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। নিজের ক্রেডিট স্কোর ভালো জায়গায় রাখতে পারলে ভবিষ্যতে ঋণ পেতে বা যে কোনও প্রকার আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যাবে। ৭০০-৭৫০ ক্রেডিট স্কোরকে ভালো বলা যেতে পারে। ক্রেডিট কার্ডের ব্যালান্স নিচের দিকে রাখতে পারলে, সময়ে ঋণশোধ করে ফেলতে পারলে, সময়ে বিল শোধ করলে ক্রেডিট স্কোর স্বস্তিদায়ক জায়গায় থাকবে।
ঋণশোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকুক - আর্থিক দিক থেকে ইতিবাচক থাকতে হলে ঋণ পরিশোধকে প্রধান করণীয় করে ফেলা উচিত। তা সে যে কোনও ধরনের ঋণ হোক। ক্রেডিট কার্ড ঋণ, শিক্ষাঋণ, হোম লোন অগ্রাধিকার দিয়ে শোধ করে ফেলা উচিত। এমনকী বিপদে কোনও বন্ধু যদি সহায়তা করে থাকে সেই বকেয়া টাকাও অবিলম্বে পরিশোধ করে ফেলা উচিত। এতে আর্থিক চাপ কমবে।
কুপন ও ক্যাশব্যাকের ব্যবহার- প্রতিটি টাকা, প্রতিটি পয়সা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে কোনও ডিসকাউন্ট কুপন, ক্যাশব্যাকের সদ্ব্যবহার করা দরকার। লং টার্মে এই অভ্যাস কাজে লাগতে পারে।
আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে বারংবার খতিয়ে দেখা- লক্ষ্য যত বড়ই হোক না কেন, আর্থিক খরচের লক্ষ্য যেন স্থির থাকে। শাড়ি কেনা হোক বা বাড়ি, আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে ফেলে এগোনো দরকার। লক্ষ্য ঠিক হয়ে গেলে, তা আপডেট করতে থাকুন। খতিয়ে দেখতে থাকুন। প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।
যত শীঘ্র সম্ভব, উপরের প্রাথমিক প্রস্তাবগুলি মেনে চলা শুরু করলে আর্থিকভাবে সুখকর জীবন কাটানো সম্ভব বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। স্মার্ট মানি ম্যানেজমেন্ট শক্ত নয়। লেগে থাকলে স্বাস্থ্যকর আর্থিক স্টেটাস পাওয়াও সহজ। তথ্যসূত্র - আইএএনএস লাইফ
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -