PPF Update: পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করা ক্ষতি ! অবশ্যই জানুন এই কারণগুলি
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) এর সুবিধার কথা আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। বেশিরভাগ অর্থনৈতিক পরামর্শদাতারই এখানে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। আপনি কি জানেন, পিপিএফ-এ বিনিয়োগেরও অনেক অসুবিধা আছে। জেনে নিন, কেন আজকের দিনে পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করা উচিত নয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআসলে পিপিএফ ভারতে একটি জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্প। ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে এতে বিনিয়োগ করলে ৭.১ শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে। পিপিএফ অ্যাকাউন্ট পূর্ণতা বা ম্যাচিওর হতে ১৫ বছর সময় নেয়। যারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য পিপিএফ একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
১ PPF সুদের হার EPF সুদের হার থেকে কম, যা বেতনভোগীদের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এই ধরনের আমানতকারীরা ভিপিএফের (VPF) মাধ্যমে আরও ভাল রিটার্ন ও কর সুবিধা পেতে পারেন। ২ বর্তমানে EPF-এর হার ৮.১৫ শতাংশ ও PPF-এর হার ৭.১ ৷
৩ বেতনভুক কর্মচারীরা করযোগ্য আয় কমাতে পিপিএফ ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতনভোগীরা পিপিএফ-এ বিনিয়োগ না করে ভিপিএফ-এর মাধ্যমে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করে ভাল সুদ পেতে পারেন।
৪ পিপিএফ অ্যাকাউন্ট পরিপক্ক হতে ১৫ বছর সময় নেয়। যারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্য পিপিএফ একটি ভাল বিকল্প।
৫ পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করা যেতে পারে। সেখানে VPFবেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প, যারা আরও টাকা বিনিয়োগ করতে চান, কারণ এখানে সর্বোচ্চ ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন আপনি।
৬ পিপিএফ-এর টাকা তোলার জন্য কঠোর শর্ত রয়েছে। এর স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার বছর ব্যতীত পাঁচ বছর পর পর প্রতি আর্থিক বছরে একবার টাকা তোলার নিয়ম রয়েছে।
অ্যাকাউন্টহোল্ডাররা স্ত্রী বা নির্ভরশীল সন্তানদের প্রাণঘাতী রোগ হলে এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারেন। অ্যাকাউন্টহোল্ডাররা তাদের নির্ভরশীল সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পিপিএফ বন্ধ করতে পারেন।
বাসস্থান পরিবর্তন হলে পিপিএফ বন্ধ করা যেতে পারে। পিপিএফ অ্যাকাউন্ট মেয়াদকালের আগেই বন্ধ হলে অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে ১ শতাংশ সুদের হার চার্জ করা হয়।
এবার তাই সবার কথা না শুনে পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করার আগে একবার আপনার আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নিন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -